পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○8 রামমোহন রায় । হয়, তত দিন তিনি তজ্জন্ত প্রাণপণে চেষ্টা করিবেন। সেই প্রতিজ্ঞ৷ তিনি কখনও বিস্তৃত হন নাই। উপদেশ, পুস্তকপ্রচার, গভর্ণমেণ্টকে পরামর্শ দান, ইত্যাদি বিবিধ উপায়ে তিনি দেশ হইতে নারীহত্যারূপ মহাপাতক বিদূরিত করিবার জন্য যত্নশীল ছিলেন। এক্ষণে উক্ত আবেদনের বিরুদ্ধে রামমোহন রায়ও এক আবেদন প্রেরণ করিলেন। ইহাতে তিনি সতী-দাই নিবারণের জন্য রাজবিধির প্রয়োজনীয়তা বিশেষভাবে প্রতিপন্ন করিয়াছিলেন । রামমোহন রায় সতীদাহের বিরুদ্ধে তিনখানা পুস্তক প্রচার করেন। “প্রবর্তক ও নিবৰ্ত্তকের প্রথম সংবাদ”, “প্রবর্তক ও নিবৰ্ত্তকের দ্বিতীয় সংবাদ” নামক গুকৰয় কথোপকথনের ভাষায় লিখিয়া, উহার ইংরাজী ও বাঙ্গালা সংস্করণ নিজব্যয়ে মুদ্রিত করিয়া, সৰ্ব্বত্র বিতরণ করেন। “বিপ্রণাম ও মুগ্ধবোধচ্ছাত্র” নামধেয় পুস্তক ১৮৩০ খৃষ্টান্ধে মুদ্রিত হয়। উক্ত পুস্তকত্ররের সার মৰ্ম্ম সংগ্রহ পূর্বক রামমোহন ইংরাজীভাষায় একখানি পুস্তক প্রচার করেন। এই সকল পুস্তক পাঠ করিয়া, ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণ ক্রোধে উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন। চারিদিকে ঝড় বহিতে লাগিল। রামমোহন রায়ের অকাট্য যুক্তি ও বিচারপ্রণালীর নিকট অবশেষে সকলকেই পরাভূত হইতে হইল। রাজা যে কেবল এ সম্বন্ধে পুস্তক লিখিয়াই আপনার কর্তব্য