পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ। । ৩৭ রহিত করিবেন বলিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিলেন, তাহার সে প্রতিজ্ঞ আজ পূর্ণ হইল। তিব্বতীয় রমণীগণের নিকট উপকার ও সহৃদয়ত প্রাপ্ত হইয়া, তিনি সমগ্র নারীজাতির প্রতি কৃতজ্ঞ হইয়াছিলেন, আজ সেই কৃতজ্ঞতার ঋণ কথঞ্চিৎ পরিশোধ করিতে পারিয়া, রামমোহনের হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত হইয়া উঠিল । এই ঘটনায় ধৰ্ম্মসভা রোযে, ক্ষোভে ও বিদ্বেষে ক্ষিপ্তপ্রায় হইয়া উঠিলেন। চারিদিকে দাবানল জলিয়া উঠিল। রামমোহন রায় সমাজ ও আত্মীয়চুত হইলেন। র্তাহার নামে বিন্দ্ৰপাত্মক কবিতা রচিত হইল, চারিদিক হইতে গালি বর্ষিত হইতে লাগিল। সত্যের জন্ত, দেশের জন্ত রামমোহন রায় কি নিৰ্য্যাতনই না সহ করিলেন । কিন্তু তাহার হৃদয়ের কি আঁচৰ্য্য মহত্ব। তিনি উদ্যোগী হইয়া এই সময়ে, লর্ড উইলিয়ম বেটিঙ্ককে যে অভিনন্দন-পত্র প্রদান করেন, তাহার শেষভাগে বলিয়াছেন,—“যাহারা আপনার প্রদত্ত অনুগ্রহ আমাদের সহিত সমভাবে লাভ করিয়াছেন, অথচ অজ্ঞতা বা কুসংস্কারবশতঃ কৃতজ্ঞতা-প্রদর্শনে আমাদের সহিত যোগদান করেন নাই, আপনি তাহাদিগকে ক্ষমা করিবেন।” ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে ১৬ই জুলাই তারিখে রামমোহন রায় টাউনহলে এক সভা করিয়া, লর্ড উইলিয়ম বেটিঙ্ককে সতীদাহ নিবারণের জন্য এই অভিনন্দন-পত্র প্রদান করেন। তিনশত সম্রাস্ত ভদ্রলোক ইহাতে স্বাক্ষর করেন। টাকীর ס\