পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 * রামমোহন রায় । প্রথা-লম্বন্ধে কি নীরব থাকিতে পারেন ? তিনি “বজ্র-কুচি গ্রন্থ প্রকাশ করিয়া, বজ্ৰ-নিনাদে ঘোষণা করিলেন—জাতিভেদপ্রথা যেমন দ্যায়বিরুদ্ধ, তেমনই অযৌক্তিক। এ সম্বন্ধে তিনি নিম্নলিখিত শাস্ত্রীয় বচন উদ্ধৃত করিয়াছিলেন— জন্মন জায়তে শূদ্রঃ সংস্কারাচ্যতে দ্বিজ । বেদাভ্যাসাধুবেদ্বিপ্রো ব্ৰহ্ম জানাতি ব্রাহ্মণঃ ॥ জন্মে সকলেই শূদ্র হয়, উপনয়নাদি হইলে দ্বিজ হয়, বেদাভ্যাস দ্বারা বিপ্র, আর ব্ৰহ্মকে জানিলে ব্রাহ্মণ হয়। অতএব ব্ৰহ্মজ্ঞ ব্যক্তিই ব্রাহ্মণ—অন্ত কেহ নহে। ব্রাহ্মণ বংশে জন্সিয়াও লোকে শূদ্র হইতে পারে, অথবা শূদ্র বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াও কৰ্ম্মগুণে ব্রাহ্মণ হইতে পারে। অতএব ব্রাহ্মণাদি বর্ণ বংশগত নয়, গুণগত। গুণ ও কৰ্ম্মের তারতম্যানুসারেই ব্রাহ্মণাদি বর্ণের প্রভেদ হওয়া উচিত। এরূপ গুনা যায়, রামমোহন রায় বালবিধবার পুনর্বিবাহের পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি বিলাতে গেলে, জনরব উঠিয়াছিল যে, দেশে ফিরিয়া আসিয়া, বিধবা-বিবাহ-প্রচারে প্রবৃত্ত হইবেন। সমাজের পক্ষে যাহা কিছু অকল্যাণকর, রামমোহন রায় তাহারই বিরুদ্ধে যেমন রণভেরী বাজাইয়াছিলেন, সেইরূপ, যাহা কল্যাণকর, তাহা প্রতিষ্ঠার জন্তও, আপনার দেহ মন প্রাণ সমর্পণ করিয়াছিলেন। তিনি অগ্রদূতরূপে আবিভূত