পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 রামমোহন রায় । শিক্ষা দিবার জন্য একটী বিদ্যালয় স্থাপন করিতে ইচ্ছুক হইয়া এ সম্বন্ধে রামমোহন রায়ের সাহায্য ও পরামর্শ চাহিলেন । রামমোহন এই প্রস্তাবে আনন্দিত হইয়া, বিদ্যালয়ের জন্ত ব্ৰাহ্মসমাজ-গৃহ ব্যবহার করিতে দিলেন। ইহার জন্ত ছাত্র সংগ্ৰহ করিলেন এবং কিছুকাল ইহার তত্ত্বাবধান করিলেন। ঈশ্বরের নিকট গ্রার্থনাপূৰ্ব্বক এই বিদ্যালয়ের কার্য্য আরম্ভ হইত এবং ছাত্রগণকে বাইবেল পড়িতে হইত। প্রথম দিন ছাত্রগণ বাইবেল পাঠে আপত্তি করায়, রামমোহন রায় তাহাদিগকে ৰলিয়াছিলেন,—“বাইবে পড়িলেই খৃষ্টান হয় না, আমি সমগ্র বাইবেল্ পাঠ করিয়াছি, কোরাণ পড়িয়াছি—অথচ খৃষ্টান কি মুসলমান হই নাই। আবার উইলসন প্রভৃতি খৃষ্টভক্তগণ সংস্কৃত পড়িয়াছেন, অথচ তাহার হিন্দু হন নাই। তোমাদিগকে বলপূর্বক কেহই খৃষ্টান করিবে না। বিচার করিয়া সত্য গ্রহণ করিবে।” তাহার কথায় ছাত্ৰগণ বাইবেল পাঠে সন্মভ হইল। যদি রামমোহন রায় এইরূপে ডফ সাহেবকে সাহায্য না করিতেন, তবে তাহার মহৎকার্য্য কখনই সফল হইত না । এজন্য ডফ সাহেব আজীবন রাজার কাছে কৃতজ্ঞ ছিলেন। ডফ সাহেব বেথুন সভায় একবার বলিয়াছিলেন,—“আমি ভারতবর্ষে আলিয়া, আমার কৰ্ম্মক্ষেত্রে রামমোহন রায়কে যেরূপ সাহায্যকারী, হিতৈষী বন্ধুরূপে পাইয়াছিলাম, দেশীয়, কি ইউরোপীয়, অন্য কাহাকেও সেরূপ পাই নাই।”