পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8& রামমোহন রায় । রামমোহন রায় লোক-শিক্ষার জন্ত আরও অনেক উপায় অবলম্বন করেন। জনসাধারণের মধ্যে জ্ঞান-বিস্তার ভিন্ন কথন দেশের উন্নতি হইতে পারে না। কিন্তু তাহা করিতে হইলে, দেশীয় ভাষার উন্নতির প্রয়োজন। তাছার সময়ে বাঙ্গাল গল্প-সাহিত্যের অত্যন্ত দুরবস্থা ছিল। এ বিষয়েও তাঁহাকে একরূপ পথ-প্রদর্শকের কার্য্য করিতে হইয়াছিল, বলিতে হইবে। গদ্যের নিয়মপদ্ধতি লিপিবদ্ধ করিয়া, তবে তাঁহাকে গদ্য-রচনায় প্রবৃত্ত হইতে হইয়াছিল। সৰ্ব্ববিধ সংস্কারক রামমোহন রায় বাঙ্গালী ভাষা এবং সংস্কৃতেরও উন্নতি করিয়া গিয়াছেন। র্তাহার সুনিপুণ করম্পর্শে বাঙ্গালী গদ্য-সাহিত্য নব-শ্ৰী ধারণ করিয়াছে। সেই সময়ে র্তাহার লিখিত গল্পই উৎকৃষ্ট গদ্য বলিয়া পরিগণিত ছিল। এই অপরিণত বাঙ্গালা ভাষার সাহায্যে গভীর শাস্ত্রবিচার, কঠোর তর্কবিতর্ক করিতে যাইয়া, তাহাকে পদে পদে কতই না অসুবিধা ভোগ করিতে হইয়াছিল। কিন্তু পুরুষসিংহ কিছুতেই পশ্চাৎপদ বা ভগ্ন-মনোরথ হন নাই। বর্তমান উৎকৃষ্ট গন্ধ-রচনার ভিত্তি তিনিই স্থাপন করেন। পণ্ডিত রামগতি স্থায়রত্ন ‘বাঙ্গালী-ভাষা ও বাঙ্গালা সাহিত্য বিষয়ক প্রস্তাব’ নামক পুস্তকে লিথিয়াছেন,—"রামমোহন রায়ের রচিত যে কয়খানা বাঙ্গালা পুস্তক দেখিতে পাওয়া যায়, তৎসমুদয়ই শাস্ত্রীর গ্রন্থের অনুবাদ এবং পৌত্তলিকত