পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ । 8ፃ বলম্বী প্রাচীন ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়দিগের সহিত বিচার। এ সকল গ্রন্থে তিনি নিজে নানা শাস্ত্রবিষয়ক প্রগাঢ় বিস্তাবুদ্ধি, তর্কশক্তি, শাস্ত্রের সারগ্রাহিত, বিনয়, গাম্ভীৰ্য্য প্রভৃতি সদগুণের একশেষ প্রদর্শন করিয়াছেন। নিবিষ্ট-চিত্তে সেই সকল অধ্যয়ন করিলে, চমৎকৃত ও ভক্তিরসে আপ্লুত হইতে ठ्ब्र ।” রামমোহন রায় ১৮২৬ খৃষ্টান্ধে বিদেশীয়দিগের পক্ষে বাঙ্গালী ভাষা শিক্ষার সুবিধার জন্য ইংরাজী ভাষায় এক বাঙ্গাল ব্যাকরণ মুদ্রিত করেন। পরে তাহ বাঙ্গালায় অনুবাদ করেন। ইহা স্কুল বুক সোসাইট কর্তৃক চতুর্থার মুদ্রিত হইয়াছিল। ইহাই বাঙ্গালী ভাষার প্রথম ব্যাকরণ। এই ব্যাকরণে “কমা”, “সেমিকোলন” প্রভৃতি ছেদ-চিহ্ন পরিদৃষ্ট হয়। র্তাহার সঙ্গীত-পুস্তকেও এরূপ. চিহ্ন দেখা বার। তিনি বাঙ্গালায় এইরূপ ছেদ চিহ্নেরও প্রবর্তক। রাজা সুন্দর সুন্দর সঙ্গীত রচনা করিতে পারিতেন। তাহার রচিত সঙ্গীতগুলির ভিতরে গভীর ঈশ্বরানুরাগ ও বৈরাগ্য নিহিত রহিয়াছে। পণ্ডিত রামগতি ন্তায়রত্ন বলিয়াছেন,—“রামমোহন রায় উৎকৃষ্ট সঙ্গীত রচনা করিতে পারিতেন। র্তাহার ব্রহ্মসঙ্গীত বোধ হয়, পাষাণকেও আৰ্দ্ৰ, পাষণ্ডকেও ঈশ্বরামুরক্ত ও বিষয়-নিমগ্ন চিত্তকেও উদসীন করিয়া তুলিতে পারে। ঐ সঙ্গীত যেমন গ্রগাঢ় ভাব