পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& R রামমোহন রায় । গিয়াছেন। শাসন ও বিচার বিভাগের অপবিত্র সম্মিলন হইতে, দেশে শত শত বিচার-বিভ্ৰাট, শত শত দুৰ্ব্বল ব্যক্তির উপর নির্ধ্যাতন হইতেছে। অনেক প্রধান প্রধান ইংরাজও এই অশুভ সংযোগের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করিয়াছেন। এতদিন পরে গবর্ণমেণ্ট কয়েকট জেলায়—শাসন ও বিচারবিভাগ পৃথক্ করিয়া, তাহার উপকারিত পরীক্ষা করিবেন বলিয়া মনস্থ করিয়াছেন। রাজা বলিয়াছেন,—“যদি আইনপ্রণয়ন-বিভাগ, রাজ্যশাসনবিভাগ ও বিচার বিভাগ পৃথকৃ থাকে, এবং ব্যবস্থাপক-সভার সভ্যগণ প্রজাগণ কর্তৃক মনোনীত হন, তাহা হইলেই উৎকৃষ্টরূপে রাজ্যশাসন-কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে পারে।” পূৰ্ব্বে যখন ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির হাতে ভারতের শাসনভার গুস্ত ছিল, তখন উক্ত কোম্পানির উপর পাৰ্লেমেণ্ট মহাসভার সম্পূর্ণ কর্তৃত্ব ছিল। এই কর্তৃত্ব ছিল বলিয়াই, কোম্পানিকে অতি সতর্কতার সহিত ভারতের শাসন দণ্ড পরিচালনা করিতে হইত। ওয়ারেণ হেষ্টিংসকে এই জন্তই পালেমেণ্ট সভার বিচারাধীন হইতে হইয়াছিল। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির রাজত্বের অবসানের সঙ্গে সঙ্গে, মহাসভার সেই কর্তৃত্ব ও শাসন ক্ষমতা নাম মাত্রে পর্য্যবসিত হইয়াছে; কাজেই ভারতের শাসনকর্তাগণ নিরঙ্কুশ ক্ষমতা পাইয়া, যথেচ্ছচারী হইয়া উঠিতেছেন। ইহার দ্বারা প্রজাগণ যেমন উৎ