পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ty ब्रांयहभांहम ब्रांम्न ! ন, ততটা ইচ্ছাও থাকে না, একটা গোলযোগের আবর্তের মধ্যে মহানলে ঘুরিতে থাকি ও মনে করিতে থাকি, বিদ্যুবেগে উন্নতির পথে অগ্রসর হইতেছি। আমরা যে আত্মবিলোপ করিতে পারি না, তাহার কারণ, আমরা আপনাকে ধারণ করিতে পারি না। সামান্তমাত্র ভাবের প্রবাহ উপস্থিত হইলেই আমরাই সৰ্ব্বোপরি ভাসিয়া উঠি। আত্মগোপন করিতে পারি না বলিয়াই সৰ্ব্বদা ভাবিতে হয়, আমাকে কেমন দেখিতে হইতেছে। র্যাহারা মাঝারীরকমের বড় লোক, তাহারা নিজের শুভসঙ্কল্প সিদ্ধ করিতে চান বটে, কিন্তু তৎসঙ্গে আপনাকেও প্রচলিত করিতে চান। এ বড় বিষম অবস্থা। আপনিই যখন আপনার সঙ্কল্পের প্রতিযোগী হইয় উঠে, তখন সঙ্কল্পের অপেক্ষ আপনার প্রতি আদর স্বভাবতই কিঞ্চিৎ অধিক হইয়া পড়ে। তখন সঙ্কল্প অনেক সময়ে হীনবল, লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। কণার কথায় তাহার পরিবর্তন হয়। কিছু কিছু ভাল কাজ সম্পন্ন হয়, কিন্তু সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর কাজটি হইয় উঠে না। যে আপনার পায়ে আপনি বাধাস্বরূপ বিরাজ করিতে থাকে, সংসারের সহস্র বাধা সে অতিক্রম করিবে কি করিয়া ? ষে ব্যক্তি আপনাকে ছাড়িয়া সংসারের মধ্যস্থলে নিজের শুভকাৰ্য স্থাপন করে, সে স্থায়ী ভিত্তির উপরে নিজের মঙ্গলসঙ্কল্প প্রতিষ্ঠিত করে। আর ষে নিজের উপরেই সমস্ত কার্য্যের প্রতিষ্ঠা করে, সে যখন