পাতা:রামমোহন রায়-কেশবচন্দ্র চৌধুরী.djvu/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిe রামমোহন রায়। লোকে তাহাকে ব্ৰহ্ম বলিয়া জানে না, ব্ৰহ্ম বলিতে আমরা ঈশ্বরকে যেরূপভাবে বুঝি, ঈশ্বরের অন্ত কোন বিদেশীয় নামে বিদেশীয়েরা কখনই তাহাকে ঠিক সেরূপভাবে বুঝে না । বুঝে বা না বুঝে জানি না, কিন্তু ব্ৰহ্ম বলিতে আমাদের মনে যে ভাবের উদয় হইবে, ঈশ্বরের অন্ত কোন বিদেশীয় নামে আমাদের মনে সে ভাব কখনই উদয় হইবে না। ব্ৰহ্ম একটি কথার কথা নহে, যে ইচ্ছা পাইতে পারে না, যাহাকে ইচ্ছা দেওয়া যায় না। ব্ৰহ্ম আমাদের পিতামহদের অনেক সাধনার ধন ;-সমস্ত সংলার বিসর্জন দিয়া, সমস্ত জীবন ক্ষেপণ করিয়া, নিস্তৃত অরণ্যে ধ্যানধারণা করিয়া আমাদের ঋষির আমাদের ব্ৰহ্মকে পাইয়াছিলেন। আমরা তাহাদের সেই আধ্যাত্মিক সম্পদের উত্তরাধিকারী। আর কোন জাতি ঠিক এমন সাধনা করে নাই, ঠিক এমন অবস্থায় পড়ে নাই, এইজন্ত ব্ৰহ্মকে প্রাপ্ত হর নাই। প্রত্যেক জাতি বিশেষ সাধনা অনুসারে বিশেষ ফল প্রাপ্ত হয়, সেই ফল তাহারা অন্য জাতিকে দান করে। এইরূপে সমস্ত পৃথিবীর উপকার হর। আমাদের এত সাধনার ফল কি আমরা ইচ্ছাপূৰ্ব্বক অবহেলা করিয়া ফেলিয়া দিব ? উদ্ভিজ্জ ও পঞ্চমাংসের মধ্যে যে জীবনী শক্তি আছে, তাহা যে আমরা স্বাক্ষ্মত্ত ফরিতে পারি, তাহার কারণ, আমাদের নিজের জীবন আছে। আমাদেয় নিজের প্রাণ