পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/১০৭

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । *。 পূর্কের স্থায় যাদবপ্রকাশের নিকট অধ্যয়নে প্রবৃত্ত রছিলেন। যমুনাচাৰ্য্য ৰাধি হইতে মুক্ত হইয়াই রামানুজের দর্শনের জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন । র্তাহার কালবিলম্ব সহ হইল না, অবিলম্বে শিষ্যগণসহ কাঞ্চীতীর্থে আগমন করিলেন। পূৰ্ব্বোক্ত কাঞ্চীপুর্ন (১) স্বীয় গুরুর আগমন সংবাদে প্রফুল্প হইয়া ভক্ত পুরবাসিক্ষণের সহিত অগ্রসর হইয়া তাহার অভ্যর্থনা করিলেন । পরমভাগবত যামুনাচার্ষ্য, ভক্তশ্রেষ্ঠ কাঞ্চীপুর্ণের সহিত মিলিত হইলেন। দুইটি ভক্রির প্রস্রবণ যেন একীভূত হইল। যামুনাচাৰ্য্য কাঞ্চীপূর্ণের সহিত প্রেমাৰ্দচিত্তে হস্তিগিরিস্থিত ভগবান বরদরাজের মন্দিরে গিয়া প্রদক্ষিণ ও প্ৰণিপাতপূৰ্ব্বক ভক্তি-গদগদ স্বরে স্তব আরম্ভ করিলেন । স্তব শেষে কিঞ্চিৎ প্রসাদ গ্রহণ করিয়া তিনি যখন রামানুজের দর্শনের নিমিত্ত ঐ পৰ্ব্বত হইতে নির্গত হইতেছেন, সেই সময়ে যাদবপ্রকাশ শিষ্যগণের সহিত বরদবাজের সেবাব নিমিত্ত্ব পর্বতে আরোহণ করিতেছিলেন । রামাম্বুজ ও যাদবপ্রকাশের সঙ্গে ছিলেন । যমুনাচাৰ্য্য ঐ সকল শিবভক্ত ব্ৰাহ্মণকে আসিতে দেখিয় কাঞ্চীপুর্ণকে বলিলেন ;–“কাঞ্চীপুর্ণ ! শৈবের আগমন করি তেছে, দেখ। সকলের অগ্রে ঐ যে দণ্ডী আদিতেছেন, (১) ঐ সমযে কাঞ্চীতীর্থে শৈব-সম্প্রদ খাই প্রবল, বৈষ্ণবের সংথ্যা তত্ত্ব অধিক হয় নাই । সুতবাং বৈষ্ণুব-সম্প্রদায়ের বিশেষ কেহ নে ! ছিল না । পুত্ববাসী সাধারণ বৈঞ্চব-গৃহস্থের খুদ্র হইলেও ভগবস্তুত্ত কাঞ্চীপুর্ণকেই বিশেষ শ্রদ্ধা করিত,•এবং তাহার আদেশেই কাৰ্য্য করিত | মধ্যে মধ্যে বঙ্গ প্রভৃতি বৈষ্ণবক্ষেত্র হইতে যামুনাচায্যের হায় বৈষ্ণুব পণ্ডিতগণ আগমন করিয়া কবীর বঞ্চব-গৃহস্থদের উৎসাহ-ৰঞ্জন করিতেন ।