পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१९ রামানুঞ্জচরিত। গুয়ন, আমি ঐ ক্ষতির প্রকৃত ব্যাখ্যা করিতেছি,—এই কথ বলিয়া শ্রীতির বাখ্যায় প্রবৃত্ত হইলেন। অমনি যাদবপ্রকাশ অধৈর্য্য ছইয়া কৰ্কশস্বরে বলিতে লাগিলেন"ওরে অসন্মত-প্রবৃত্ত চুরাশয় । তুই আমার সাক্ষাতে ঐ রূপ অসঙ্গত ব্যাখ্যা করি না। ওরে দ্বিজাধম! তুই আমার নিকটে অবস্থানের যোগ্য নয়, শীঘ্র আমার সম্মুখ হইতে চলিয়া যা”। যাদবপ্রকাশ কলির প্রভাবে বিবেকত্রঃ হইয়া ঐ রূপে রামানুজকে নিষ্কাশিত করিয়া দিলেন। রামামুজ কিছুই বলিলেন না। কারণ, তিনি জ্ঞানী ও শমদমতিতিক্ষাদিগুণসম্পন্ন, সুতরাং তাছার চিত্তবিকার হওয়া কোন প্রকারেই সম্ভাবিত নহে। এই ঘটনার পর, রামামুজ পুনরায় তাহার শূদ্র বন্ধু,ভক্ত কাঞ্চীপূর্ণের নিকটে গিয়া সমুদয় বৃত্তান্ত জানাইলেন কাঞ্চীপুর্ণ বলিলেন "উত্তম হইয়াছে, এত কালের পর যে তু:ি দুষ্টমতির সংসর্গ পরিহার করিতে পারিয়াছ, তজ্জন্তু আমি মুর্থ হইয়াছি। ভগবান বরদরাজ তোমার প্রতি কৃপালু, তুমি তাহাবে ছাড়িয়া দূরে থাকিতে চাহ, উহা সম্ভব হুইবে কেন ? অতএব যাওঁ পুনরায় ভগবান বরদরাজের কিঙ্করত্ব অঙ্গীকার কর।” রামানুজ ভক্ত কাঞ্চীপুর্ণের উপদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া পুনরায় বরদরাজের সেবায় নিযুক্ত হইলেন। তিনি প্রত্যহ ভক্তি-পূৰ্ব্বক শালকূপ হইতে সুবর্ণকুস্তে করিয়া, বরদরাজের পূজার জল বহন করা: পবিত্ৰ-মনে সময় যাপন করিতে লাগিলেন । পূৰ্ব্বোক্ত ঘটনা হইতে আমরা জানিতে পারি, রামানুজে জন্ম গ্রহণের পর শৈব ও বৈষ্ণব মতের প্রচার লইয়া অভ্যতা প্রতিদ্বন্দ্বিত উপস্থিত হইয়াছিল। তখন উদার বৈষ্ণব-ধৰ্ম্ম ক্রমে ক্রমে সত্যুদয় লাভ করিতেছে । অশিক্ষিত নিম্নবর্ণেবাঃ