পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/১৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

➢ ፃ8 রামানুজচরিত। সুন্দরী স্বয়ং আমার গৃহে সমাগত। অতএব অন্ত নিশ্চয়ই আমার মনোরথ পূর্ণ হইবে।” এই রূপ মনে মনে চিন্তা কবিসু সেই বণিক, তণ্ডুল শাক দুগ্ধ দধি ঘৃত শর্কর কন্দ মূল ফল মৃৎপাত্র কদলীপত্ৰ কাষ্ঠ প্রভৃতি যাবতীয় দ্রব্য প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্মীর গৃঃে পাঠাইয়ু দিল । লক্ষ্মী গৃহে আগমন পূৰ্ব্বক অত্যন্ত ভক্তিসহকারে ঐ সকল বস্তু গুরুদেবের সম্মুখে রাখিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে অপেক্ষ করিতে লাগিলেন। যঠিরাজ, লক্ষ্মীর প্রজ্ঞ স্বভাব ভক্তি প্রভৃতি লক্ষ্য করিয়া অত্যন্ত চমৎকৃত হইলেন এবং মর্তাব আদরের সহিত বলিলেন—“সাধিব ! আমি তোমার গুরুভক্তি প্রত্যক্ষ করিয়ু অত্যন্ত আহ্লাদিত হইয়াছ, অতএব তুমি স্নান করিয়া ভগবান লারায়ণের অাবাপনার নিমিত্ত অন্ন পাক কর’। লক্ষ্মী আহলদিতচিত্তে রন্ধন কার্য্যে প্রবৃত্ত হইলেন, যতিরাজেৰ শিষ্যগণ র্তাহার সাহায্য করিতে লাগিলেন। এদিকে স্বয়ং যতিরাজ অবগাহন করিয়া যথাবিধি উৰ্দ্ধপুং ধারণপুৰ্ব্বক ভগবান ৰত্নদাজের আরাধনায় নিযুক্ত হইলেন। ইষ্ট-পুঞ্জ শেষ হইলে বেদবিং শ্ৰীবৈষ্ণবগণের সহিত সুখে উপবেশনপুৰ্ব্বক লক্ষ্মীর প্রদত্ত সেই পবিত্র অন্ন ব্যঞ্জন দুগ্ধ দধি মিঃার প্রতৃতি দ্বাবা রসন পরিতৃপ্ত করিয়া অত্যন্ত আনন্দিত হইলেন। বৈশ্যের শ্রীৰৈঞ্চ বত্ব লাভ | র্যতিরাজ ভোজন শেষে অতিশয় প্রফুম চিত্তে উপবেশন করিয়া শিষ্যগণকে ধৰ্ম্মোপদেশ প্রদান কবিয়ে ছেন, সাধবী লক্ষ্মী প্রসাদ সম্মুখে করিয়া স্বামীর আগমন প্রতীক করিয়া বসিয়া আছেন। এমন সময় বরদাৰ্য্য সমস্ত দিন উষ্ণুবুরি দ্বারা কিঞ্চিং ধান্ত সংগ্ৰহ করিয়া গৃহে উপস্থিত হইলেন। তিনি গুরুকে গৃহে সমাগত দেখিয়া যারপর নাই আনন্দিত হইলেন এর