পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামানুজচরিত। ه ما যদি সঙ্গত মনে কর, তবে আমার সহিত চল ।” রামানুজ যাদবপ্রকাশের কুটিলতা বুঝিতে না পারিয়া জননীর অনুমতি গ্রহণ পূর্বক মাঘ-স্নানের নিমিন্ত গুরুর সহিত যাত্রা করিলেন। মাতৃস্বস্ত্রীয় গোবিন্দ ও সঙ্গে রহিলেন}তাহার পর, একদিন অরণ্যানীপরিবৃত বিন্ধ-পৰ্ব্বত অবলম্বনপুৰ্ব্বক গমনকালে শিষ্যগণ সহ যাদবপ্রকাশ মগ্রে অগ্রে যাইতেছিলেন, রামানুজ ও গোবিন্দ পশ্চাতে ছিলেন। এই অবসরে গোবিন্দ রামানুজকে একাস্তুে ডাকিয়া বলিলেন "ভ্রাতঃ, গুরু তোমাকে ভালবাসিয়া সঙ্গে লইতে ছেন না, তোমার প্রাণনাশের ব্যবস্থ করা হইয়াছে। অতএব সাবধান, সময় থাকিতে উদ্ধারের উপায় দেখ” এই বলিয়া গুরুর ভয়ে সত্বর তাহাব সছি ত মিলিত হইবার জন্য দ্রুতপদে অগ্রসব হইতে লাগিলেন। গোবিন্দের কথা শুনিয়া রামানুজের মুখ শুকাইয় গেল, তিনি পথ পবিত্যাগপূর্বক নিবিড় অরণ্যে প্রবেশ করিয়া এক বৃক্ষমূলে বসিবা পড়িলেন। পূৰ্ব্বেই আকাশে মেঘের । সঞ্চার হইয়াছিল, হঠাৎ বৃষ্টি আরম্ভ হইল যাদবপ্রকাশ ও শিষ্যগণ সহ পথিমধ্যে অত্যন্ত কাতল হইয়া পড়িলেন । এমন সময় গোবিন্দ গিয়া উপস্থিত । একাকী গোবিন্দকে দেখিয়া যাদবপ্রকা" দ্রুত রামায়ুজের কথা “ জিজ্ঞাসা করিলেন। উত্তরে গোবিন বলিলেন "রামায়ুজ বোধ হয় অগ্ৰে গিয়াছে।” যাদব প্রকাশ গোবিন্দের কথায় বিস্মিত হইয়া রামানুজের অনুসন্ধানে ব নির্মি? শিষ্যদিগকে আদেশ করলেন এবং তাহদের আগমন প্রস্তা করিয়া ঐ স্থানেই বসিয়া রহিলেন । শিষ্যে বা সয়ংকালে ফিবিধ আসিয়া বলিল “গুরুদেব ! আমরা এই ঘোর অরণ্যের সর্বস্থানে তন্ন তন্ন করিয়া সন্ধান করিলাম, কোথাও রামানুজের সাক্ষা