পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । > >(r ক্রৌথভরে রহিয়াছে, তোমাকে বনে বিসর্জন দিয়া বল কিরূপে ঐ কর্কশভাষিণীর মুখ দর্শন করিৰ । উপনয়নের পর তোমার বয়স সপ্তদশ বৎসর হইয়াছে, এতদিন কেবল দুঃখাবসানের আশাতেই অতিবাহিত হইয়া গেল ; এখন আমি জীর্ণ হইয়া পড়িয়াছি, চির দিনের নিমিত্ত তোমার এই অক্ষয় বনবাস দুঃখ অীর সহ্য করিতে পারিব না এবং সপত্নীদিগের মৃত্যাচারও আর আমায় সহিবে না । তোমার এই পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় সুন্দর অনন সন্দর্শন না করিয়া বল কিরূপে দীনভাবে কালতিপতি করিব । ছা ! অতঃপর সকলে এই বলিয়া আক্ষেপ করিবে যে কৌশল্যার জীবন কেবল ক্লেশে ক্লেশেই গিয়াছে । আমি অতি মন্দ্রভাগিনী, কত কষ্ট কত উপবাস করিয়া তোমায় বাড়াইলাম দুরদৃষ্টক্রমে সমুদায় পণ্ড হুইয়া গেল । বর্ষণসলিলে নদীকুলের ন্যায় আমার হৃদয় যখন এই দুঃখেও বিদীর্ণ হইল না, তখন বোপ্প হইভেছে ইহা নিতান্তই কঠিন । এই হতভাগিনীর মৃত্যু লাই—যমালয়েও স্থল নাই । মুগরাজ সিংহ যেমন সহসা সজললয়ন কুরঙ্গীকে লইয়া যায়, কৃতান্ত আজি কেন আমায় সেইরূপ লইলেন না । এখন নিশ্চয়ই বোধ হইতেছে, আমার এই হৃদয় লৌহময় ! তোমার মুখে এই দুঃখের কথা যেমন শুনিলাম, দণ্ডৰৎ অমনিই ভূতলে পড়িলাম, কিন্তু ইজ বিীণ হইল ন, এই দুঃখভারপ্রান্ত দেহও শতধ চূর্ণ হইয় গেল না । এক্ষণে