পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । Ꮌ © > শিখর, স্বগের বিমান ও আকাশগতি হইতেও বঞ্চিত হইয়া স্বামীর চরণছায়ায় আশ্রয় লইবে । পিতা, মাতাও উপদেশ দিয়াছেন যে, সম্পদে বিপদে স্বামীর সহগামিনী হইবে । অতএব নাথ ! তুমি যদি অদ্যই গহন বনে গমন কর, আমি পদতলে পথের কুশকণ্টক দলন করিয়া তোমার অগ্রে অগ্ৰে যাইব । অনুরোধ রহিল না বলিয়া ক্রোধ করিও না । পথিকেরা যেমন পানাবশেষ সলিল লইয়া যায়, তদ্রপ তুমি আশঙ্কিত মনে আমায় সঙ্গী করিয়া লও । আমি তোমার নিকট কখন • এমন কোন অপরাধই করি নাই, যে আমায় রাখিয়া যাইবে । আমি ত্রিলোকের ঐশ্বৰ্য চাহি না, তোমার সহবাসই বাঞ্ছনীয় । তোমায় ছাড়িয়া স্বর্গের মুখও আমার স্পৃহণীয় নহে । ੋਂ এই উপস্থিত প্রসঙ্গে আমি যাহা করি, অামায় কোন কথাই কহিও না"। @ জীবিতনাথ ! আমার একান্তই অভিলাষ যে, যে স্থানে মৃগ ও ব্যাস্ত্র সকল বাস করিতেছে, পুষ্পের মধুগন্ধ চারিদিক আমোদিত করিতেছে, সেই নিবিড় নির্জন অরণ্যে তাপসী হইয়া নিয়ত তোমার চরণ সেবা করি। যে জলাশয়ে কমল-দল প্রস্ফুটিত হইয়া আছে, হংস ও কারগুব কলরব করিতেছে প্রতিদিন নিয়ম পূর্বক তথায় গিয়া অবগাহন করি। সেই বানরসস্কুল বারণবহুল প্রদেশে পিতৃগৃছের ন্যায় অস্নেশে