পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• অযোধ্যাকাণ্ড । ১৬৩ হওয়া শ্রেয়ম্বর নছে, এই কারণে পিতৃআজ্ঞায় উপেক্ষা ও দৈবের মুখাপেক্ষা করিয়া এই স্থানে বাস করা উচিত বোধ করি না । পিতার উপাসনা করিলে ত্ৰিলোকের উপাসনা করা হয় এবং ধৰ্ম্ম অর্থ ও কাম এই তিনই উপলব্ধ হইয়া থাকে, এই জীবলোকে ইহা অপেক্ষা পবিত্র বিষয় আর কিছুই নাই ; এই কার ণেই আমি পিতার আদেশ পালনে যত্নবান্থ হইয়াছি । দেখ, প্তিত্বসেবার ন্যায় সভ্য দান মান ও ভূরিদক্ষিণ যজ্ঞও পর লোকে হিতকর হয় না । পিতার চিত্তবৃত্তি অনুবৃত্তি করিলে স্বৰ্গ ধন ধান্য বিদ্যা পুত্র ও সুখ সুলভ হইয়া থাকে । যে সমস্ত মহাত্মা মাতা পিতার শরণগত হন, তাহাদিগের দেবলোক গন্ধৰ্ব্বলোক গোলোক ব্ৰহ্মলোক ও অন্যান্য উৎকৃষ্ট লোক লাভ হয় । সুতরাং সত্যপরায়ণ পিতা যেরূপ আদেশ করিতেছেন, আমি তাঁহাই করিব, ইছাই আমার যথার্থ ধৰ্ম্ম । জানকি, তোমার দণ্ডকারণ্য গমনে আমার অভিলাষ ছিল না, কিন্তু তুমি যখন তদ্বিষয়ে দৃঢ় সঙ্কম্প করিয়াছ, তখন অবশ্যই সঙ্গে লইব । এক্ষণে আমি কহিতেছি, যাহা আমার ধৰ্ম্ম, তুমিও তৎসাধনে প্রবৃত্ত হও । প্রিয়ে ! তুমি যেরূপ সিদ্ধান্ত করিয়াছ, ভাহা সৰ্ব্বাংশে উত্তম এবং আমাদের ংশেরও অনুরূপ হইয়াছে। এক্ষণে তুমি বনগমনের উপযুক্ত অনুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হও । ব্রাহ্মণগণকে রত্ন এবং ভক্ষণী ভিক্ষুক