পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>१७ ।। রামায়ণ । যাহাকে পূৰ্ব্বে অন্তরীক্ষচর পক্ষীরাও দেখিতে পায় নাই, আজ সেই সীতাকে পথের লোক সকল অবলোকন করিতেছে । অরণ্যে গ্রীষ্মের উত্তাপ বর্ষার জলধারা ও দুরন্তু শীত শীঘ্রই ইহঁীর এই রক্তচন্দনরঞ্জিত অঙ্গ বিবর্ণ করিয়া ফেলিবে । আজি রাজা দশরথ নিশ্চয়ই পিশাচ-গ্রস্থ হইয়াছেন, নতুবা তিনি কখনই রামকে বনবাস দিতেন না, বলিতে কি, এইরূপ প্রিয় পুত্রকে নির্বাসিত করা তাহার একান্তই অন্যায় হইল । র্যাহার চরিত্রে পৃথিবীস্থ সমস্ত লোক মোহিত হইয়া আছে, উহার কথা দূরে থাকুক, যে পুত্র নিগুণ, তাহার প্রতিও লোকে এইরূপ নিষ্ঠুর ব্যবহার করিতে পারে না । অহিংসা দয়া শাস্ত্রজ্ঞান সুশীলভ এবং বাহ ও অন্তরিদ্রিয় নিগ্রহ, রাজকুমার রামের এই ছয়টি গুণ বিদ্যমান আছে, প্রচণ্ড রৌদ্রের উত্তাপে সরোবরের জলশোষ হইলে মৎস্যাদি জলজন্তু যেমন আকুল হইয়া থাকে, তদ্রুপ প্রজারা ইহার বিরহে যার পর নাই আকুল হইবে । এই ধৰ্ম্মশীল মহাত্মা সকল মনুষ্যেরই মূল ; অন্যান্য সকলে ইহঁীর শাখা পল্লব পুষ্প ও ফল, সুতরাং মূলের উচ্ছেদ হইলে ফলপুপপূর্ণ বৃক্ষ যেমন বিনষ্ট হইয়া থাকে, সেই রূপ ইহঁীর বিপদে সকলকেই বিপদস্থ হইতে হইবে । অতএব আইস, আমরা গৃহ উদ্যান ও ক্ষেত্র সকল পরিত্যাগ পূর্বক দুঃখের দুঃখী ও মুখের স্বর্থী হইয়া ইহঁরই অনুসরণ করি ।