পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৯৪

অযোধ্যাকাও ৷ እboፃ স্বামী, তুমি ইহঁর অবমাননা করিও না , ভর্তার ইচ্ছানুসারে কাৰ্য সাধন স্ত্রীলোকের কোট পুত্র অপেক্ষাও অধিক হইয়। থাকে । দেখ, রাজার লোকান্তর হইলে রাজকুমারদিগের বয়ঃক্রম অনুসারে রাজ্যাধিকার হয়, এই আচারটি অনাদিকাল হইতে প্রচলিত হইয়া আসিতেছে, কিন্তু মহারাজের জীবদ্দশাতেই তুমি তাহা লোণ করিবার চেষ্টা পাইতেছ। এক্ষণে তোমার পুত্র ভরত রাজা হইয়া পৃথিবী শাসন করুন, আমরা রামেরই অনুসরণ করিব । তুমি আজি যে জঘন্য আচরণে প্রবৃত্ত হইয়াছ, তোমার রাজ্যে আর কি প্রকারে ব্রাহ্মণ বাস করিবেন । রামের যে পথ সকলেরই সেই পথ । এক্ষণে বল দেখি, আত্মীয় স্বজন ও বিপ্রগণ তোমায় ত্যাগ করিয়া যাইলে কেবল রাজ্য লইয়া কি সুখোদয় হইবে ? অাশ্চর্য্য ! তোমার এইরূপ ব্যবহারে মেদিনী কেন সদ্যই বুিীর্ণ হইল না, ব্রাহ্মর্ষিগণ ভয়ঙ্কর অগ্নিকম্প ধিক্কারে তোমাকে কেন ভস্মসাৎ করিলেন না । মহরাজ যে তোমার অনুবৃত্তি করিতেছেন, জানি না তাছার পরিণাম কিরূপ হুইবে । কুঠারাঘাতে আম্র বৃক্ষ ছেদন করিয়া কে নিম্বের পরিচৰ্য্যা করিয়া থাকে । মুলে জলসেক করিলে নিম্ব কি কখন মধুর হয় দেবি । তোমার জননীর যেমন আভিজাত্য, তোমারও তদ্ধপ । লোকে কহিয়া থাকে যে, নিম্ব বৃক্ষ হইতে কখনই মধু নিঃসৃত হয় না, এ কথা অলীক নহে। আমি বৃদ্ধগণের মুখে