পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ রামায়ণ । ও প্রচুর দক্ষিণ দান করিয়া ঋষিগণের সহিত পরম মুখে বাস করিবেন। অতএব সকল প্রকার ভোগ্য দ্রব্য ইহঁরই সমভিব্যtহারে দেও, তৎপরে ভরত আসিয়া অযোধ্য শাসন করিবেন । মহীপাল দশরথ সুমন্ত্রকে এইরূপ আদেশ করিবামাত্র কৈকেয়ীর যৎপরোনাস্তি ভয় উপস্থিত হইল, তাছার মুখ শুক্ষ হইয়া গেল এবং কণ্ঠস্বর ব্ৰুদ্ধ হইল । তিনি অত্যন্তুই বিষগ্ন ইয়া দশরথকে কছিলেন, মহারাজ ! যদি সমুদায় বিলাসসামগ্ৰী বছিভূত হইয়া যায়, তাহা হইলে ভরত পীতসার সুরীর ন্যায় শূন্যরাজ্য লইয়া কি করিবে । কৈকেয়ী নির্লজ্জা হইয়া এইরূপ নিদাৰুণ বাক্য প্রয়োগ করিলে রাজা দশরথ ক্রোধাবিষ্ট হইয়া কহিলেন, অনাৰ্য্যে ! তুমি ভার বহনে আমায় নিযুক্ত করিয়াছ, আমিও বহিতেছি, তবে কেন আর ব্যথিত কর। তুমি এক্ষণে যে বিষয়ের প্রসঙ্গ করিলে, রামের বনবাস প্রার্থনা কালে কি নিমিত্ত ইহা প্রকাশ কর নাই । তখন কৈকেয়ী দ্বিগুণ ক্রোধের সছিভ কছিলেন, দেখ তোমারই বংশে সগর রাজা জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ অসমঞ্জকে রাজ্য ভোগে বঞ্চিত করিয়া নগর হইতে বহিস্কৃত করেন, এক্ষণে রামকে সেইরূপেই বছিস্কৃত কর । * দশরথ এই কথা শ্রবণ করিবৃণমাত্র কছিলেন, দুঃশীলে ! তোরে