পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । براہ مہد জানকীকে জননী এবং গহন কাননকে অযোধ্য জ্ঞান করিও । সুমিত্রা প্রিয়দর্শন লক্ষণকে এইরূপ উপদেশ দিয়া পুনঃ পুনঃ কহিতে লাগিলেন, বাছা ! তবে তুমি এখন স্বচ্ছন্দে বনে । প্রস্থান কর । 魏叶 অনন্তুর সুমন্ত্র বিনীত ভাবে রামকে কহিলেন, রাজকুমার ! এক্ষণে রথে আরোহণ কর । তুমি যে স্থানে বলিবে শীঘ্রই তধায় লইয়া যাইব । দেবী কৈকেয়ী অদ্য তোমাকে গমনের আদেশ দিয়াছেন, সুতরাং আজ হইতেই চতুর্দশ বৎসর বনবাস কালের আরম্ভ করিতে হইতেছে। ভখন সীতা পুলকিত মনে সর্বাগ্রে সেই হুর্যের ন্যায় উজ্জ্বল কনকখচিত রথে আরোহণ করিলেন । তৎপরে রাম ও লক্ষণ, পিতা বৎসর সংখ্যা করিয়া জানকীকে যে সমস্ত বস্ত্র ও অলঙ্কার প্রদান করিয়াছেন সেই গুলি এবং বিবিধ অস্ত্র, বৰ্ম্ম, চৰ্ম্মপরিবৃত পেটক ও খনিত্র রথমধ্যে রাখিয়া উথান করিলেন । সুমন্ত্র বায়ুর ন্যায় বেগবান মনোমত অশ্বে কষাঘাভ করিবামাত্র রথ ঘর্ঘর রবে ধাবমান হইল । তদর্শনে নগরবাসীরা মুচ্ছিত হইয়া পড়িল । চতুর্দিকে তুমুল আৰ্ত্তনাদ উত্থিত হইল । মাতঙ্গগণ উন্মত্ত ও ক্রুদ্ধ হইয়া অনবরত গর্জন করিতে লাগিল । সৰ্ব্বত্রই ভয়ঙ্কর কোলাহল । নগরের আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই যৎপরোনাস্তি কাতর হইয়া নীর দর্শনে উত্তাপ-তপ্ত