পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ミ、> > মাতার দুঃখের সেই বিষণ্ণ মূৰ্ত্তি র্তাহার একান্তই অসহ্য হইয়া উঠিল । র্যাহারা যানে গমনাগমন করেন, অীজ উগহীরা পথে পদব্রজে, র্যাহারা নিরবচ্ছিন্ন মুখ সম্ভোগ করেন, আজ র্তাহ”দের দুৰ্ব্বিষহ দুঃখ , তদর্শনে রাম অঙ্কুশ হত মাতঙ্গের ন্যায় একান্ত অসহিষ্ণু হইয়া, বারংবার সুমন্ত্রকে কহিতে লাগিলেন, সুমন্ত্ৰ ! তুমি শীত্র রথ লইয়া চল । এ দিকে বদ্ধবৎস ধেনু যেমন বংসের উদেশে গোষ্ঠাভিমুখে ধাবমুনি হয়, দেবী কৌশল্য সেই রূপে ধাবমান হইলেন । তিনি কখন রামের কখন সীতার ও কখন বা লক্ষণের নাম গ্রহণ পূর্বক রোদন করিতে লাগিলেন । মুমন্ত্র, রাজা দশরথ রথবেগ সংবরণ এবং রাম দ্রুত গমন করিতে কহিতেছেন দেখিয়া, যুদ্ধার্থী উভয়পক্ষীয় সৈন্যের মধ্যগত পুৰুষের ন্যায় কিংকৰ্ত্তব্যবিমূঢ় হইয়া রছিলেন । ਫਜੂੱਜ রাম উহাকে কছিলেন, মুমন্ত্ৰ ! তুমি প্রত্যাগমন করিলে, মহারাজ যদি তোমায় তিরস্কার করেন, লোকের কোলাহলে আদেশ শুনিতে পাও নাই বলিলেই চলিবে, কিন্তু বিলম্ব ঘটিলে আমায় বিষম ক্লেশ পাইতে হইবে । সুমন্ত্র সম্মত হইলেন এবং রথের সঙ্গে যে সকল লোক আসিতে ছিল, তাহাদিগকে প্রতিগমন করিতে কহিয়া, অধিকতর বেগে অশ্বসঞ্চালন করিতে লাগিলেন । তখন রাজপরিবার ও অন্যান্য লোক মনে মনে রামকে প্রদক্ষিণ করিয়া প্রতিনিবৃত্ত হইলেন,