পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨.૨૭ রামায়ণ । অভিষিক্ত হইবেন । দেখ, অযোধ্যার অধিবাসীরা ভাহীকে অত্যন্তই স্নেহ করিয়া থাকে। উছারা ভাছকে বনবাসীর্থ নিষ্কান্ত দেখিয়া, নিরবচ্ছিন্ন শোক শ্রু বিসর্জন করিতেছে । সাক্ষাৎ লক্ষীর ন্যায় জানকী যাহার অনুগমন করিলেন, র্তাহার আর ভাবনা কি ? ধনুপ্রীগ্রগণ্য স্বয়ং লক্ষণ আসি শর ও অন্যান্য অস্ত্ৰ শস্ত্র গ্রহণ করিয়া, র্যাহার অগ্রে অগ্ৰে যাইতেছে, তঁহীর আর অভাব কি ? দেবি ! দেখিবে, লেই ৬দিত চন্দ্রের ন্যায় প্রিয়দর্শন পুনরায় আসিয়া তোমার চরণ বন্দনা করিবেন । এক্ষণে আর দুঃখ শোক প্রকাশ করিও না ; রামের অশুভ সম্ভাবনা কোন রূপই নাই । আর্য্যে ! কোথায় তুমি আর অণর সকলকে সাতৃ না করিবে, তা নয়, নিজেই বিকল হইলে । বলি, রাম যখন তোমার পুত্র, তখন কি তোমার শোক করা উচিত ? রাম অপেক্ষ জগতে কেহ সাধু নাই । তিনি অবিলম্বেই লক্ষণের সহিত আসিয়া, তোমায় প্রণাম করিবেন এবং তুমি র্তাহণকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া বর্ষার মেঘের ন্যায় দরদরিত ধারে আনন্দী শ্রী মোচন করিবে । অনিন্দনীয়া সুমিত্র এইরূপ প্রবোধ বাক্যে কৌশল্যাকে আশ্বাস প্রদান করিয়া বিরত হইলেন । কৌশল্যার ও দুঃখ শোক শরদের জলশূন্য নারদের ন্যায় বিলীন হুইয়া গেল ।