পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২, ৩২ রামায়ণ । করিয়াছ, নতুবা জানকীর রক্ষণাবেক্ষণের নিমিত্ত আমার অন্যের সাহায্য লইতে ছইত । বৎস ! আজি আমরা এই নদী তীরে আশ্রয় লইলাম ; এই স্থানে বন্য ফল মূল যথেষ্টই রছিয়ছে, কিন্তু সংকল্প করিয়াছি, আজিকার এই রাত্রি কেবল জল পণন করিয়া থাকিব । ● রাম লক্ষণকে এইরূপ কহিয়া সুমন্ত্রকে কহিলেন, সুমন্ত্র ! তুমি এক্ষণে অশ্বগণের তত্ত্বাবধান কর । অনন্তর দিবাকর অস্তশিখরে আরোহণ করিলে সুমন্ত্র অশ্বদিগকে সুপ্রচুর তৃণ আহার করাইলেন এবং সন্ধ্যা বন্দনাবসানে নিশা উপস্থিত দেখিয়া লক্ষণের সাহায্যে রামের শয্যা প্রস্তুত করিয়া দিলেন । রামও ঐ পণশয্যায় ভাৰ্য্যার সহিত শয়ন করিলেন । তিনি শয়ন করিলে লক্ষণ র্তাহীকে পরিশ্রশস্ত ও নিদ্রিত দেখিয়া সুমন্ত্রের নিকট র্তাহার বিস্তর প্রসংশা করিতে লাগিলেন । এ দিকে রাত্রি ও প্রভাত হইল এবং সুর্য্যদেব গগনে উদিত হইলেন । অনন্তর রাম সেই গোষ্ঠবহুল তমসার উপকুলে প্রকৃতিগণের সহিত রজনী যাপন করিলেন এবং প্রভাতে গাত্ৰেখন পূৰ্ব্বক তাছদিগকে ঘোর নিদ্রায় অচেতন দেখিয়া লক্ষ কে কছিলেন, বৎস! প্রজারা গৃহধর্মে নিরপেক্ষ হইয়া, কেবল আমাদিগেরই মুখাপেক্ষা করিতেছে। দেখ, ইছারা এখনও বৃক্ষমূলে নিদ্রীয় অভিভূত হইয়া আছে । আমাদিগকে বনবাসের অভিলাষ