পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ২৩৩ হইতে নিবৃত্ত করিবার নিমিত্ত ইহাদের অত্যন্তই যত্ন ; বরং ইছার প্রাণত্যাগ করবে, কিন্তু স্বসংকল্প হইতে কিছুতেই বিরত হইবে না । এক্ষণে সকলে নিদ্রিত আছে, ক্ষণকাল পরেই জাগরিত হইবে, আইস, আমরা এই অবকাশে শীত্র রধারোহণ পূর্বক নিৰ্ভয়ে প্রস্থান করি । প্রজাগণকে স্বরুত দুঃখ হইতে মুক্ত করাই রাজকুমারদিগের কর্তব্য, কিন্তু আত্মকন্তু দুঃখে লিপ্ত করা কোন মতেই শ্রেয় নহে । , লক্ষণ ধৰ্ম্মস্বরূপ রামের এই প্রকার বাক্য শ্রবণ করিয়া, কহিলেন, আর্য্য ! আপনি যেরূপ আদেশ করিলেন, ইহা অতি উত্তম, আর বিলম্বে কাজ নাই, রথে আরোহণ কৰুন । তখন রাম সুমন্ত্রকে কহিলেন, সুমন্ত্ৰ ! তুমি রথ আনয়ন কর, আমি এখনই অরণ্যে যাত্রা করিব । অনন্তুর মুমন্ত্র শীঘ্ৰ অশ্ব য়োজন করিয়। রামের নিকট আগমন পূর্বক কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, রাজকুমার ! রথ আনিয়াছি, ੇ এক্ষণে সীতা ও লক্ষণের সহিত আরোহণ কর । রাম সপরিচ্ছদে শর শরীশন লইয়া রথারোহণ পূর্বক সেই আবির্ভবহুলা তমসা অতিক্রম করিলেন । তিনি তমসা পার হইয়া উীত লোকেরও অভয় প্রদ নিরাপদ রাজপথে গমন করিতে লাগিলেন । যাইতে যাইতে প্রকৃতিবর্গের . চিত্তবিভ্রম উৎপাদনের নিমিত্ত সুমন্ত্রকে ক্লছিলেন, সুমন্ত্ৰ ! তুমি একাকীই রথ