পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৬৫

ミQbア রামায়ণ . অভ্যন্তই অপ্রিয়, ইহা আমি কোন সাহসে ভাষার নিকট প্রকাশ করিব । রাম ! আমার নিয়োগস্থ এই সমস্ত অশ্ব তোমার স্বজনবর্গকে বহন করিয়া থাকে, ইহার এক্ষণে এই শূন্য রথ লইয়া কি রূপে যাইবে ? যদি কাননে তুমি ইচ্ছাদিগকে আপনার পরিচর্যায় নিযুক্ত কর, ইহীদের পরম গতি লাভ হইবে । যাহাঁই হউক, আমি তোমায় ফেলিয়া কদাচই অযোধ্যায় যাইতে পারিব না, তুমি আমাকে তোমার অনুসরণে অনুমভি প্রদান কর । আমি বারংবার প্রার্থনা করিভেছি, যদি তুমি অপমায় না লইয়া যাও, তৎক্ষণাৎ এই রথের সহিত অগ্নি প্রবেশ করিব । দেখ, অরণ্যে তোমার তপোবিঘ্ন ঘটতে পারে, কিন্তু আমি থাকিলে রথী হইয়া তৎসমুদায় নিবারণ করিতে পারিব । তোমার জন্য রথ চৰ্য্য-কৃত সুখ লাভ করিয়াছি, আবার তোমারই প্রসাদে বনবাস-মুখ প্রাপ্ত হুইব, এই আমার বাসনা । প্রসন্ন হও, অরণ্যে তোমার সন্নিহিত থাকি, ইহাই আমার ইচ্ছা হইয়াছে । আমি তথণয় প্রাণপণে তোমার সেবা করিব, অযোধ্যা কি মুরলোকের নামও করিব না। এক্ষণে, অধিক আর কি, আজ আমি তোমায় ছাড়িয়া কোন মতে নগরে প্রবেশ করিতে পারিব না । বনবাস-কাল অতিক্রান্ত হুইলে, আমার অভিলাষ এই যে, আমি এই রথে পুনরায় তোমাকে লইয়া অযোধ্যায় যাইব । তোমার সঙ্গে থাকিলে চতুর্দশ