পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૦ রামায়ণ । রাজও উহাকে প্রতিজনক কোন কথা কবির উদেশে নিজ গৃহ প্রবেশে অনুজ্ঞা দিলেন । রাম গৃহমধ্যে প্রবেশ করিয়া দূর হইতে পিতাকে দর্শন ও কৃতাঞ্জলিপুটে অভিবাদন করিলেন। তখন রাজা দশরথ উহাকে উত্থাপন ও জালিঙ্গন করিয়া আসন গ্রহণে অনুমতি প্রদান পূৰ্ব্বক কহিলেন, বৎস ! আমি দীর্ঘ আয়ু লাভ ও ইচ্ছানুরূপ বিষয়মুখ উপভোগ করিয়া বৃদ্ধ হইয়াছি। আমি যাচককে প্রার্থনাੇ অর্থ দান ও অধ্যয়ন করিয়াছি এবং অন্নদান ও প্রভুত দক্ষিণ দান সহকারে বিবিধ যজ্ঞানুষ্ঠান করিয়া দেবগণেরও অর্থনা করিয়াছি। আজ যাহার তুলনা এই ভুলোকে নাই সেই তুমিই আমার আত্মজ । বৎস! এই রূপে দেবতা ঋষি বিপ্র ও আত্মঋণ হইতে আমার সম্পূর্ণই মুক্তি লাভ হইয়াছে । এক্ষণে তোমাকে রাজ্যে অভিষেক করা ব্যতিরেকে কৰ্ত্তব্যের আর কিছুই অবশেষ নাই। অতএব আমি তোমাকে যাহা অাদেশ করিতেছি, তুমি তদ্বিষয়ে অভিনিবেশ প্রদান কর । বৎস ! অদ্য প্রজাবৰ্গ পালনভার তোমারই হস্তে দেখিবার বাসনা করিতেছেন, এই কারণে আমি তোমাকেই রাজ্যে অভিষেক করিব । বিশেষতঃ আজি আমি নিজাযোগে অশুভ স্বপ্ন সমুদায় দেখিতেছি ; যেন দিবসে বজ্রাঘাত ও ঘোররবে উলঙ্কণপাত হইতেছে। দৈবজ্ঞেরা কহিতেছেন, স্থৰ্য্য মঙ্গল ও