পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२.१२ রামায়ণ । তীরজ অন্যান্য বহুবিধ বৃক্ষে পরিব্যাপ্ত নীলবর্ণ এক কানন দেখিতে পাইবে । আমি অনেকবার চিত্রকুটে গিয়াছি, ঐ পথ দিয়াই তথায় গমনাগমন করা যায় । উছা অতি সুদৃশ্য ও বালুকাময়, এবং উহার কুত্ৰাপি দাবানল নাই । মহর্ষি ভরদ্বাজ এই রূপে চিত্রকুটের পথ নির্দেশ করিয়া দিলে রাম তাঁহাকে অভিবাদন করিয়া কহিলেন, ভগবদ্‌ ! আমরা আপনকার নির্দিষ্ট পথ অনুসারেই চলিলাম, এক্ষণে আপুনি প্রতিনিবৃত্ত হউন । অনন্তুর ভরদ্বাজ প্রভিগমন করিলে রাম লক্ষমণকে কহিলেন, বৎস ! মুনি যে এইরূপ অনুকম্পা করলেন, ইছা আমাদের পরম সৌভাগ্যের বিষয়, সন্দেহ নাই । এই বলিয়া রাম সীতাকে অগ্রে লইয়া লক্ষণের সহিত যমুনাভিমুখে চলিলেন এবং ঐ বেগবতী নদীর সন্নিহিত হইয়া উহ। কি প্রকারে পার হইবেন ভাবিতে লাগিলেন । অনন্তর তাহারা বন হইতে শুষ্ক কণষ্ঠ আহরণ এবং উশীর দ্বারা তাহা বেষ্টন করিয়া ভেলা নিৰ্ম্মাণ করিলেন । মহাবল লক্ষণ জম্ব, ও বেতসের শাখা চ্ছেদন পূর্বক জানকীর উপবেশনার্থ আসন প্রস্তুত করিয়া দিলেন। তখন রাম সাক্ষাৎ লম্বনীর ন্যায় অচিন্তাপ্রভাবা ঈষৎ লজ্জিত প্রিয়দয়িতাকে অগ্ৰে ভেলায় তুলিলেন এবং উহার পার্শ্বে বসন ভূষণ খনিত্র