পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষট পঞ্চাশ সর্গ। রজনী প্রভাত হইলে রাম, লক্ষমণকে জাগরিত অথচ ভদ্রীয়-তাচ্ছিন্ন দেখিয়া মৃদুবচনে প্রবেধিত করত কছিলেন, লক্ষণ ! ঐ শুন, বনের পক্ষি সকল মনোহর স্বরে কলরব কুরি । তেছে । এক্ষণে ಇಡ್ಲಿ? প্রস্থানের সময় হইয়াছে, চল আমরা গমন করি । তখন লক্ষণ যথাসময়ে প্রবুদ্ধ হইয়৷ পূৰ্ব্বদিনের পর্য্যটন-শ্রম পরিত্যাগ করিলেন । অনস্তুর সকলে যমুনীর জলে স্বান করিয়া ঋষি-নিষেবিত পথে চিত্ৰকুটাভিমুখে যাইতে লাগিলেন । গমনকাত্রে রাম কমললোচনা জানকীকে কহিলেন, প্রিয়ে ; দেখ, বসন্তে পুষ্পবিকাশ নিবন্ধন কিংশুক বৃক্ষ যেন মাল্য ধারণ করিয়াছে এবং বোধ হইতেছে যেন উছার চতুৰ্দ্ধিক দাবানলে প্রজ্বলিত হইয়া উঠিয়াছে। ঐ দেখ, ভল্লাতক, বিলু ফলপুঙ্গে অবনত হইয়া আছে, কিন্তু ভোগ করিবার কেহ নাই। প্রতি বৃক্ষে দ্রোণপ্রমাণ মধুক্রম লম্বমান রছিয়াছে । দাতুছে চীৎকার করিতেছে, ময়ূর ডাকিতেছে এবং বনস্থল বৃক্ষের স্বয়ংপতিত পুঙ্গে আচ্ছন্ন হইয়া আছে ।