পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । Հե- ծ অনন্তুর তিনি অবিলম্বে তথায় উপস্থিত হইলেন এবং রথ । হইতে অবতীর্ণ হুইয়া, মহাজনপূর্ণ সাতটি কক্ষ অতিক্রম করিয়া চলিলেন। তৎকালে প্রাসাদ হইতে পুরনারীগণ সুমস্ত্রকে দেখিয়া রামের আদর্শনে হাহাকার আরম্ভ করিলেন, এবং যৎপরোনাস্তি কাতর হইয়া আতি বিশাল, ধবল, জলধারাকুললোচনে অস্পষ্টভাবে পরস্পর পরস্পরের প্রতি চাহিতে লাগিলেন । রাজমহিষীর হর্ঘ্য হইতে অবতরণ পূর্বক শোকাকুল মনে মৃদুবচনে কহিলেন, হা ! সুমন্ত্র রামের সহিত নিস্কৃত্তি হইয়াছিলেন, কিন্তু তাহাকে পরিত্যাগ করিয়া নগরে আইলেন, জানি না, এখন কাতরা কৌশল্যাকে কি বলিয়। প্রবোধ দিবেন । রাম রাজ্যভিষেকে উপেক্ষা করিয়া নির্গত হইলে যখন কৌশল্যা প্রাণ ধারণ করিয়া আছেন, তখন বোধ হয়, জীবন কেবলই দুঃখের, এবং মৃত্যুও সহজে হয় না । সুমন্ত্র মহিষীগণের এইরূপ মুসঙ্গত বাক্য শ্রবণ পূর্বক শোকে প্রদীপ্ত হইয়া অষ্টম কক্ষীয় প্রবেশ করিলেন, দেখিলেন, তথায়,রাজা দশরথ পুত্ৰশোকে স্নান হইয়া পাণ্ডুরাগশোভিত গৃছে দীনমনে উপবেশন করিয়া আছেন । তখন সুমন্ত্র .ঠাছার সন্নিহিত হইয়া উহাকে অভিবাদন করিলেন এবং রাম ষেরূপ কহিয়া দিয়াছেন, অবিকল সেই কথা কহিতে লাগিলেন। দশরথ নিস্তব্ধভাবে তৎসমুদায় শ্রবণ করিয়া পুত্ৰশোকে ভূতলে ○"。