পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । S.bー。 হিংস্ৰ জপ্তগণ ও সঞ্চরণ করিতেছে না, বন রামের শোকে যেন নীরব ছইয়া আছে । জলজ ও স্থলজ পুষ্পের গন্ধ পূর্ববং আর নাই এবং ফলও বিস্বাদ হইয়া গিয়াছে । পুষ্পবাটিক ਸ਼ੇਸ਼ শূন্য, তথায় বিহঙ্গেরা কোলাহল করিতেছে না এবং উপবনের রমণীয়তাও বিদূরিত হইয়াছে। মহারাজ ! আমি যখন অযোধ্যায় প্রবেশ করি, তৎকালে কেহই আমাকে অভিনুদ্দন ফরিল না এবং রামকে দেখিতে না পাইয়া, ঘন ঘন নিশ্বাস পরিত্যাগ করিতে লাগিল । পথের লোক্টের দূর হইতে রথে রামকে না দেখিয়া, অবিরলধারে আশ্র বিসর্জনে প্রবৃত্ত হইল । প্রাসাদ হইতে সমস্ত পৌরস্ত্রী পুরমধ্যে রথ উপস্থিত দেখিয়া, রামের আদর্শনে হাহাকার আরম্ভ করিল এবং যৎপরোনাস্তি কাতর হইয়া, অতিবিশাল ধবল জলধারাকুল লোচনে স্পষ্টভাবে পরস্পর পর পরের প্রতি চাহিতে লাগিল । ঐ সময় দেখিলাম, সকল লোকই কাতর, সুতরাং কে মিত্র, কে শত্ৰু, কেইবা উদাসীন, ইহার কিছুই আমি বুৰিতে পারিলাম না । রাজনৃ! বলিব কি, অযোধ্যার অধিবাসিরা বিষন্ন হইয়া দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিতেছে ; কাহারই মনে হর্ষের লেৰ মাত্র महेि, ছত্তী অশ্ব পর্যন্তু দীনভাবে কাল যাপন করিতেছে। দেখিয়া বোধ হয়, যেন, নগরী পুত্রহীন কৌশল্যারই ন্যায় শোচনীয় হইয়াছে ।