পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৯৮

অযোধ্যকাণ্ড । ՀՖ ծ আর কি কষ্ট আছে ? হা রাম ! হা লক্ষণ ! হা জানকি ! আমি ? অনাথের ন্যায় দুঃখে প্রাণত্যাগ করিতেছি, কিন্তু তোমরা তাহা জানিতেছ না । অনন্তর দশরথ পুত্রবিয়োগ দুঃখে জ্ঞানশূন্য হইয়া শোকাকুল মনে কৌশল্যাকে কহিলেন, দেবি ! আমি রাম বিনা যে দুঃখসাগরে নিপতিত হইয়াছি, জীবদ্দশায় তাহ হইতে উদ্ধার হইতে পারিব, এরূপ সম্ভাবনা করি না । রামের শোক এই সাগরের বেগ, নিশ্বাস উহার তরঙ্গবহূল অর্ণবৰ্ত্ত, বাহুবিক্ষেপ মৎস্য, রৌদন গভীর কল্লেীল শব্দ, বিক্ষিপ্ত কেশজাল শৈবাল, কৈকেয়ী বড়বানল, কুজ্জার বাক্য নক্র কুম্ভীর, প্রার্থিত বর তীরভূমি এবং রামের নির্বাসনই বিস্তার । এই সাগর বাস্পরূপ নদীজলে সততই আবিল হইতেছে এবং উহা আমার নেত্রনীরেই উৎপন্ন । দেখ, আজ আমার রাম ও লক্ষণকে দেখিবার অত্যন্তই অভিলাষ হইতেছে, কিন্তু র্তাহাদিগকে দেখিতে পাইতেছি না, ইহা আমার পাপ ভিন্ন আর কিছুই নছে। এই বলিয়। রাজা দশরথ তৎক্ষণাৎ মুস্থিত হইয়া শয্যায় নিপতিত হইলেন। কৌশল্যাও র্তাহাকে তদবস্থ দেখিয়া এবং উহার এইরূপ কৰুণ , বাক্য শ্রবণ করিয়া যার পর নাই শঙ্কিত হইয়া উঠিলেন ।