পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

92 е রামায়ণ t লোকের ধৰ্ম্মজ্ঞান আছে, স্বামী গুণবান বা নিগুণই হউন, উীহাকে সাক্ষাৎ দেবতা বলিয়া জ্ঞান করা তাছাদের কর্তব্য। ভুমি অতি ধৰ্ম্মশীল, সৎ ও অসৎই বা কি, তাছাও জান, অতএব বিশেষ দুঃখিত-হইলেও এই শোকের উপর আমার প্রতি কঠোর বাক্য প্রয়োগ করা ভোমার উচিত इङ्ग मा। কৌশল্যা দশরথের এইরূপ দীন বাক্য শ্রবণ করিয়া, প্রণালী যেমন বর্ষার জলধারা বহন করে সেই রূপ নেত্র হইতে বাগবারি বিসর্জন করিতে লাগিলেন । পরে দশরথের সেই পদ্মকলিকাকার অঞ্জলি স্বহস্তে গ্রহণ ও মস্তকে ধারণ পূর্বক, ব্যস্ত সমস্ত হইয়া, ভাতমনে কহিলেন, মহারাজ ! আমি তোমায় সাষ্টাঙ্গে প্ৰণিপাত করিতেছি, প্রসন্ন হও । তুমি আমার নিকট কৃতাঞ্জলি হইলে, ইহাতে নিশ্চয়ই আমার সর্বনাশ হইবে ; অতঃপর আমি আর তোমার ক্ষমার যোগ্য নহি । ইহলোক ও পরলোকের শ্লাঘনীয় পতি যাহাকে প্রসন্ন করেন, সে কখনই কুলী বলিয়া পরিগণিত হইতে পারে না । নাথ ! আমার ধৰ্ম্মজ্ঞান আছে, তুমি যে সত্যবাদী, তাছাও জানি ; আমি কেবল পুত্ৰশোকে কাতর হইয়াই তোমায় ঐরপ অপ্রিয় কথা কহিলাম। দেখ, শোক হইতে ধৈৰ্য শাস্ত্রজ্ঞান প্রভৃতি সকলই বিলুপ্ত হইয়া যায়, শোকের সদৃশ শক্র আর নাই । বিপক্ষের প্রছার অনায়াসে সহ্য করা যায়, কিন্তু যদি শোক