পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ○e。 অনম্ভর মুনি আমার’ পদশব্দ শ্ৰৱণ করিয়া পুত্রভ্রমে কৰুি , লেন, বৎস! তোমার কেন এত বিলম্ব হইল ? তুমি শাস্ত্র জল আনয়ন কর । বহুক্ষণ নদীতে ক্রীড়া করিতেছিলে বলিয়া, স্তোমার মাতা অতিশয় উৎকণ্ঠিত হইয়াছেন। এক্ষণে তুমি ত্বরিত পদে অীশ্রমে আইস । আমরা যদিও কোনরূপ অপ্রিয় ব্যবহার করিয়া থাকি, তন্নিমিত্ত তুমি কিছু মনে করিও না । তুমি এই অগতিদিগের গতি, এই অন্ধদিগের চক্ষু । আমাদের জীবন তোমাকে অবলম্বন করিয়াই রহিয়াছে । বৎস , তুমি কেন আমার কথায় প্রত্যুত্তর করিতেছ না ? মুনি ব্যঞ্জনাক্ষরবিরছিত গদগদ ও অন্ধট স্বরে এইরূপ কহিলে, আমি অত্যন্তই ভীত হইলাম এবং সবিশেষ যত্নসহকারে তাৎকালিক ভাব গোপন করিয়া কছিলাম, তপোধন ! আমি ক্ষত্ৰিয়বংশীয় দশরথ, আমি আপনার পুত্র নহি । সাধুলোকে যে বিষয়ে স্থা করেন, আমি এইরূপ একটি কার্য করিয়া এক্ষণে অত্যন্তই দুঃখিত ও পরিতাপিত হইয়াছি। ভগব ,অদ্য নিপানে জলপান করিবার নিমিত্ত হস্তী বা যে কোন জস্তই আমুক, আমি তাহাদিগকে বিনাশ করিবার বাসনায়, শরাসনহন্তে সরযুতীরে আসিয়াছিলাম। ইত্যবসরে নদীর জল মধ্যে কুন্তপূরণ রব আমার শ্রুতিগোচর হইল। -সেই শব্দ শ্রবণে হস্তী আসিয়াছে মনে করিয়া, আমি শর নিক্ষেপ করিয়াছিলাম ।