পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S)} a রামায়ণ । পরে নদীতীরে গিয়া দেখিলাম, এক জন তাপসের বক্ষে শরবিদ্ধ হইয়াছে । তিনি মৃতকম্প হইয়া ভূতলে শয়ান রছিয়াছেন । তখন আমি সন্নিহিত হইয়া তাহারই আদেশানুসারে তাঁহার বক্ষ হইতে শল্য উদ্ধার করিয়া লইলাম। শল্য উদ্ধৃত হুইবামাত্র তিনি, পিতামাতা বৃদ্ধ বলিয়া, শোকাকুল মনে বিলাপ ও পরি তাপ করিয়া, প্রাণত্যাগ করিলেন । ভগব ! আমি না জানিয়াই আপনকার পুত্র বিনাশ করিয়াছি । এক্ষণে যা হইবার হইয়াছে, অতঃপর যাহা কৰ্ত্তব্য হয়, আপনি আমাকে আদেশ কৰুন । আমি কৃতাঞ্জলিপুটে মুনিকে এইরূপ কঠোর কথা শ্রবণ করাইবা মাত্র তিনি আমাকে তৎক্ষণাৎ ভস্মসাৎ করিতে পারিতেন, কিন্তু করিলেন না, কহিলেন মহারাজ ! যদি তুমি এই অকার্য্যের বিষয় স্বয়ং অস্লিয়া ন জানাইভে, তাহা ছইলে তোমার মস্তক সদ্যই সহঅধা জ্বলিত হইল্লা পড়িত। ক্ষত্রিয়ের কথা দূরে থাক, অনাথ অন্ধ বুনিপ্রস্থকে হত্য, জ্ঞানকৃত হইলে উহ। ইন্দ্রকেও স্থানচ্যুত করিতে পারে । আমার পুত্র তপঃপরায়ণ ও ব্রহ্মবাদী, তাদৃশ লোকের প্রভি জ্ঞানপূর্বক শস্ত্র নিক্ষেপ করিলে, তোমার মন্তক সপ্তৰ বিশীর্ণ হইয়া যাইভ । তুমি অজ্ঞানত এই কাৰ্য্য করিয়াছ বলিয়া জীবিত রছিয়াছ, যদি জানিয়া করিতে, তাহা হইলে কেবল