পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাও כי לכא তুমি নও, স্ববংশেই ধ্বংস হইয়া যাইতে । যাঁহাই হউক, এক্ষণে তুমি আমাদিগকে তথায় লইয়া চল । যিনি শোণিত-লিপ্তদেছে স্থলিতবলস্কলে ভুতলে মৃত পতিত রহিয়াছেন, আমরা সেই পুত্রের শেষ দেখা দেখিয়া লইব । • অনন্তর আমি একাকী উছাদিগকে সরবৃতীরে লইয়া গিয়া সেই মৃত দেহ স্পর্শ করাইলাম। স্পর্শ করিবামাত্র উহার তদুপরি প্রতিত হইলেন । পরে মুনি সকাতরে কহিতে লাগিলেন, বৎস! আজ কেন তুমি আমাকে অভিবাদন করিতেছ না ? কেন আমার সহিত কথা কহিতেছ না ? কি নিমিভই বা ভূতলে শয়ন করিয়া আছ ? তুমি কি ক্রোধ করিলে ? বছি ! আমি যদি অপ্রিয় হইয়া থাকি, তবে তোমার এইধৰ্ম্মশীলা জননীর প্রতি একবার দৃষ্টিপাত কর । তুমি কি কারণে আলিঙ্গন ও ক্লেশমলু বাক্যে সম্ভাষণ করিলে না ? আমি অতঃপর রাত্রিশেষে আর কাছার হৃদয়হাৰী মধুর শাস্ত্রীধ্যয়ন শ্রবণ করিব ? অামাকে পুত্ৰশোকভয়ে নৃিতান্ত কাতর দেখিয়া, আর কে সন্ধা। বন্দ্রনাবসানে হুতাশনে আহুতি প্রদান পূর্বক আমায় স্বান করাইবে । আমি একান্ত অকৰ্ম্মণ্য দরিদ্র ও সহায়হীন, এক্ষণে কন্দ মূল ফল আহরণ পূর্বক আর কে আমায় প্রিয় অতিথির ন্যায় আছার করাইবে ? বৎস! আমি তোমার এই অন্ধ ও বৃদ্ধ মাতাকে কিরূপে তরণ পোষণ