পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ৩২৫ লাভ ও লব্ধ রক্ষা দুক্ষর হইয়া উঠে ; রণস্থলে শত্রুর বিক্রম সৈন্যগণের একান্ত দুঃসহ হয় ; বিশালদশন ষষ্টি বৎসরের মাতঙ্গ সকল কণ্ঠে ঘণ্টা বন্ধন পূর্বক রাজপথে ভ্রমণ করে না ; কেহ উৎকৃষ্ট অশ্বে বা সুসজ্জিত রথে আরোহণ পূর্বক সহসা বহির্গত হইতে সাহসী হয় না ; শাস্ত্রজ্ঞ সুধীগণ বন বা উপবনে গিয়া শাস্ত্রবিচার করিতে বিরত হন এবং ধর্মশীল লোকেরাও দেবপূজার উদ্দেশে দক্ষিণ দান ও মাল্য মোদক প্রস্তুত করিতে শংসয়ারূঢ় হইয়া থাকেন। অরাজক রাজ্যে রাজকুমারেরা চন্দন ও অগুৰু রাগে রঞ্জিত হইয়া বসন্তু কালীন বৃক্ষের नाग्नि পরিদৃশ্যমান হন না ; র্যাহার একাকী পৰ্য্যটন করেন এবং যথায় সায়ংকাল প্রাপ্ত হন সেই স্থানে বিশ্রাম করিয়া থাকেন, সেই সমস্ত জিতেন্দ্রিয় মুনিও ব্রহ্মে চিত্ত সমাধান পূৰ্ব্বক ভ্রমণ করিতে পারেন না ; অধিক হার কি, যেমন জলশূন্য নদী, তৃণশূন্য বন এবং পালকহীন গো, অরাজক রাজ্যও ভদ্রপ। এই অবস্থায় জীবন রক্ষণ করা নিভাণ্ডই দুষ্কর হয়, এবং এই অবস্থায় মনুষ্যেরা মৎস্যের ন্যায় প্রতিনিয়ভ পরস্পর পরস্পরকে ভক্ষণ করিয়া থাকে । যে সমস্ত নাস্তিক ধৰ্ম্মমর্যাদা লঙ্ঘন করিয়া রাজদণ্ডে দণ্ডিত হইয়াছিল, তাহারাও এই সময়ে প্রভুত্ব প্রদর্শন করে। চক্ষু যেমন শরীরের হিতসাধন ও অতি নিবারণে নিযুক্ত আছে, প্রজাদিগের পক্ষে রাজাও তদ্রপ । डिमिनडा ও ধর্মের