পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○88 রামায়ণ । ন্যায় নিরীক্ষিত হইতেছে। এই বলিয়া মহাবীর ভরত, বসনে বদন আচ্ছাদন পূর্বক রোদন করিতে লাগিলেন । তখন কৈকেয়ী স্থৰ্য্যচন্দ্র সঙ্কাশ মাতঙ্গ সদৃশ অমরপ্রভাব শোকার্ভ পুত্র ভরতকে অরণ্যে কুঠারছিন্ন সালবৃক্ষের শাখার ন্যায় ভূতলে নিপতিত দেখিয়া, স্বয়ং উহাকে উথাপন পূৰ্ব্বক কছিলেন, বৎস ! তুমি কি কারণে ধরাসনে শয়ন করিয়া আছ ? গাত্রোথান কর ; দেখ, তোমার ন্যায় সুসভ্য সাধুলোকেরা কদাচই শোকে অভিভূত হন না । তোমার বুদ্ধি শ্রুতি, শীল ও তপস্যার অনুগামিনী এবং দান ও যজ্ঞের সম্পূর্ণই অধিকারিণী। হুর্য্যমণ্ডলে প্রভার ন্যায় ইহা তোমার অন্তরে সভতই বিরাজ করিতেছে । অনন্তুর ভরত ভূতলে অঙ্গ পরিবর্তন পূৰ্ব্বক বহুক্ষণ রোদন করিয়া, শোকাকুল মনে জননীকে কহিলেন, অম্ব ! পিতা আর্য্য রামকে রাজ্যে অভিষেক ও যাগযজ্ঞের অনুষ্ঠান কম্নিবেন, এই ভাবিমা আমি মহা আনন্দে রাজগৃহে গিয়াছিলাম, কিন্তু যা ভাবিয়ছিলাম, তাহীর সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটিয়াছে । আমি যে প্রিয়কারী পিতাকে দেখিতেছি না, ইহাতেই আমার মন বিদীর্ণ হইয়া যাইতেছে । জননি । আমার অনুপস্থিতি কালে পিতা কোন্‌ ব্যাধিতে আক্রান্ত হইয়া দেহ ত্যাগ করিলেন ? সেই কীৰ্ত্তিমান রাজা, আমি যে আসিয়াছি তাহা নিশ্চয়ই জানিতে