পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৫৬

অযোধ্য। কাণ্ড । פ98א ধৰ্ম্মপরায়ণ রাম মাতৃনিৰ্ব্বিশেষে তোকে শ্রদ্ধা ভক্তি করিতেন, এবং জ্যেষ্ঠ মাতা দূরদর্শিনী কৌশল্যাও ভগিনীর তুল্য স্বেছ করেন, কিন্তু তুই র্তাহারই পুত্রকে অক্ষুব্ধমনে বলকল পরাইয়া বনবাস করিয়াছিস্ ! রাম সাধুদশী যশস্বী ও মহাবীর, উহাকে নির্বাসিম্ভ করিয়া তোর কি ইষ্ট লাভ হইল ? তুই অত্যন্ত লুব্ধস্বভাব, আমি রামকে কি রূপ চক্ষে দেখিতাম, বোধ হয়, তাহী জানিতে পারিস নাই, সেই কারণেই রাজ্যের নিমিত্ত এত দূর অনর্ধ ঘটাইয়াছিস । এক্ষণে আমি পুৰুষপ্রধান রাম ও লক্ষমণকে না দেখিয়া, কেন্থি শক্তিপ্রভাবে রাজ্যরক্ষায় সমর্থ হুইব । সুমেৰ যেমন আত্মরক্ষার্থ স্ব-শিখরসঞ্জাভ বন আশ্রয় করিয়া থাকে, ভদ্রপ মহারাজও প্রতিনিয়ত সেই মহাবীরকে আশ্রয় করিতেন। সুতরাং আমি প্রবলষ্কৃত ভার কোন সাহসে বহন করিব ? যোগপ্রভাব বা বুদ্ধিবলে যদিও এই বিষয়ে সমর্থ হই, তথাচ তোর মনস্কামনা প্রাণান্তেও পূর্ণ করিব না । এক্ষণে যদি ভোর উপর রামের মাতৃৰৎ মর্যাদা না থাকিস্ত, ভাহা হইলে আমি ভোকে পরিভ্যাগ করিতেও কুষ্ঠিত হইতাম না । রে দুঃশীলে ! আমাদের কুলবিগর্হিত এই পাপৰুদ্ধি কি রূপে তোর উপস্থিত হইল ? আমাদের বংশে জ্যেষ্ঠেরই রাজ্যাধিকার হয় এবং অন্যান্য ভ্রাতারা তাহার অধীন হইয়া থাকেন। এক্ষণে বোৰ হইতেছে, তুই এই রাজধর্ম কিছুই জানিস