পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৬১

·Gඳ8 রামায়ণ । ”মাৰ পুত্র, কিন্তু তো ছতেই তিনি নিঃসন্তান ছইয়াছেন ; বলিতে কি, এই পাপে তোরেও অচিরাৎ ইহকাল ও পরকালে কষ্ট পাইতে হইবে । এক্ষণে আমি পিতার ঔদ্ধদেহিক কাৰ্য্য অনুষ্টান করিয়া, আর্য রামকে বন হইতে প্রত্যানয়ন করিব । উহাকে আনিয়া স্বয়ংই মুনিজনসেবিত অরণ্যে প্রবেশ পূর্বক যশস্বী হইব । কিন্তু রে পাপশীলে । পেীরগণ সজলনয়নে আমায় নিরীক্ষণ করিবে, আর আমি যে তোর পাপকার্য্যের - ভার বহন করিব, ইছা কখনই হইবে না । অতঃপর তুই অগ্নিতে প্রবিষ্ট হ, বা দণ্ডকারণ্যেই যা, অথবা কণ্ঠে রজ্জ বন্ধন করিয়া প্রাণত্যাগ কর, ভোর গত্যন্তর নাই । এক্ষণে রাম অযোধ্য রাজ্যে আগমন করিলে আমি কৃতকাৰ্য্য হইব এবং আমার কলঙ্কও দূর হইয়া যাইবে । এই বলিয়া ভরত অঙ্ক শাহত আরণ্য মাতঙ্গের ন্যায় ক্রোধাবিষ্ট ভুজঙ্গের ন্যায় ঘন ঘন নিঃশ্বাস পরিভলগ করিতে লাম্বিলেন । র্তাহার নেত্র রোঁষে আরক্ত হইয়া উঠিল, এবং কটিভটের বক্স শিথিল হুইয়া গেল । তিনি অঙ্গের সমস্ত আভরণ দূরে নিক্ষেপ করিয়া, উৎসবাবসানে শক্ৰধ্বজের ন্যায় ভূতলে পতিত ও ছতজ্ঞান হইয়া রছিলেন ।