পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৭৩

S) とかや রামায়ণ । অনন্তুর অনুগামিগণ ভরত ও ਮੋੜ এইরূপ বিলীপ শ্রবণ এবং এই বিপদ দর্শন করিয়া পুনরায় কাতর হইয়া উঠিল । ঐ উভয় রাজকুমারও ভগ্নশৃঙ্গ বৃষভের ন্যায় বিষণ্ণ ও শ্রান্ত হইয়া ধরাতলে লুষ্ঠিত হইতে লাগিলেন । * # ইত্যবসরে সত্ত্ব প্রকৃতি সৰ্ব্বজ্ঞ ইস্কুকুকুলগুৰু বশিষ্ঠ ভরতকে ভূতল হইতে উথাপন পূর্বক কহিলেন, রাজকুমার ! আজ ত্রয়োদশ দিবস হইল, তোমার পিতার অগ্নিসংস্কার সম্পন্ন হুইয়া গিয়াছে ; এক্ষণে কেবল অস্থিসঞ্চয়ন কার্য অব শেষ থাকিতে তুমি কেন তদ্বিষয়ে কাল বিলম্ব করিতেছ ? দেখ, স্কুৎপিপাসা, শোকমোহ ও জরামৃতু্য এই তিনটি নিৰ্ব্বিশেষে শরীর ধারণে সাধারণের ঘটিয়া থাকে, ইছা যখন জীবের অপ রিহার্ষ্য হইতেছে, তখন দুঃখে এককালে অভিভূত হওয়া তোমার উচিত হয় না । তত্ত্বদশী সুমন্ত্রও শক্রয়কে উথাপন পূর্বক প্রসন্ন করিয়া জীবের উৎপত্তিবিনাশের বিষয়ে নানা প্রকার কহিতে লাগিলেন । তখন ভরত ও শক্রয় অশ্রুজল মার্জন করত আরক্তলোচনে গাত্ৰোখান করিয়া, বর্ষ ও উত্তাপ প্রভাবে যে ইন্দ্ৰধ্বজ স্নাম হইয়া গিয়াছে তাহার ন্যায় মুশোভিত হইলেন । অমাত্যেরাও অস্থিসঞ্চয়ন কর্ঘ্যের নিমিত্ত উীহাদিগকে বারংবার স্বর দিতে লাগিলেন। -