পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぐ)&b* রামায়ণ । কারিণী কুজ্জাকে দ্বারদেশে দর্শন করিয়া, নির্দয়ভাবে গ্রহণ ও শক্রন্থের নিকট আনয়ন পূর্বক কছিলেন, বৎস! যাহার নিমিত্ত রামের বনশ্বাস ও আমাদের পিতার প্রাণনাশ হইয়াছে, এই সেই পাপীয়সী-কুজ্জা, এক্ষণে তোমার যা অভিৰুচি হয়, তাহাই কর। শত্রুঘ্ন, ভরতের বাক্য শিরোধীর্ষ্য করিয়া দুঃখিতভাবে অন্তঃপুরচরদিগকে কহিলেন, দেখ, এই কুহকিনী আমীর পিতা ও ভ্রাতৃগণের মনে মৰ্ম্মবেদন দিয়াছে, সুতরাং এ, এখনই এই ক্রর কার্যের ফল ভোগ কৰুক। এই বলিয়া তিনি সেই সখীজনপরিবৃত কুঞ্জাকে বল পূর্বক গ্রহণ করিলেন । কুক্ত অৰ্ত্তিনাদে গৃহ প্রতিধ্বনিত করিতে লাগিল । তাঁহার সখীরা ཝ་༢পরে নাত্তি সন্তপ্ত হইল এবং শত্রয়কে ক্রুদ্ধ দেখিয়া চতুর্দিকে পলায়ন করিতে লাগিল । পলায়ন কলে পরস্পর মন্ত্রণা করিল, দেখ, শত্রুঘ্ন যেরূপ উপক্রম করিয়াছেন, হয় ত আমাদিগকেও নিঃশেষ করিবেন । এখন আইস, আমরা সকলে গিয়া ধৰ্ম্মিষ্ঠা বদান্য কৌশল্যার শরণাপন্ন কই, এক্ষণে তিনিই আমাদিগের গতি । এদিকে শক্রয় ক্রোধভরে কুজ্জাকে ভূতলে অাকর্ষণ করিতে লাগিলেন । কুজ্জা আৰ্ত্তম্বরে চীৎকার করিতে প্রবৃত্ত হইল, ইতস্ততঃ আকর্ষণে তাহার সানাপ্রকার অলঙ্কার স্খলিত হইয়া