পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©ዓ & রামায়ণ । করিয়াছেন। তিনি থাকিলে এরূপ বিশৃঙ্খলা ঘটিবার সত্ত্বাবনা ছিল না । এই বলিয়া ভরত যার পর নাই পরিভপ্ত হইয়া বিমোহিত হইলেন । তদর্শনে তত্ৰত্য স্ত্রীলোকেরা দীনমনে মুক্তকণ্ঠে রোদন করিতে লাগিলেন । o অনন্তর রাজধৰ্মজ্ঞ বশিষ্ঠ শিষ্যগণ সমভিব্যাহারে সুরসভা সদৃশ সুবর্ণনির্মিত মণি-খচিত সভামণ্ডপে প্রবেশ পূৰ্ব্বক উৎকৃষ্ট আস্তরণসংযুক্ত হেমময় পীঠে উপবেশন করিয়া দূতদিগকে কহিলেন, দেখ, তোমরা এক্ষণে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয়, অমাত্য, সেনাপতি ও যোদ্ধগণের সহিত ভরত শক্রয় ও অন্যান্য রাজপুত্র, এবং যুদ্ধাজিৎ সুমন্ত্র ও অপরাপর হিতকারী ব্যক্তিকে শীঘ্র অনিয়ন কর, বিলম্বে বিঘ্ন ঘটিতে পারে, এমন কোন কার্য্য উপস্থিত হইয়াছে । মহর্ষি বশিষ্ঠ এইরূপ আদেশ কারবামাত্ৰ সকলেই হস্তী অশ্ব ও রথে আরোহণ পূৰ্ব্বক আগমন করিতে লাগিলেন । উছাদিগের আগমনে চতুর্দিকে তুমুল কোলাহল উত্থিত হইল। প্রজারা রাজকুমার ভরতকে আসিতে দেখিয়া, রাজা দশরথের ন্যায় তাহার সম্বৰ্দ্ধনা করিল। তখন সেই তিমিনাগসঙ্কল সুবর্ণবহুল স্থির হ্রদের ন্যায় রাজসভা ভরত ও শত্রুঘ্ন কর্তৃক সুশোভিত হইয়া, পূর্বে রাজা দশরথ থাকিতে যেরূপ ছিল, সেই রূপই পরিদৃশ্যমান ছইল ।