পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3b-b- রামায়ণ । আইসে। তিনি আশর জ্যেষ্ঠ ও পিতৃতুল্য, এক্ষণে আমি উহাকে বন হইতে, প্রজগনয়ন করিবার নিমিত্তই চলিয়াছি। সত্যই কহিতেছি, তুমি এই বিষয়ে কিছুমাত্র সন্দেহ করিও না । নিষাদপতি, ভরতের এই কথা শুনিয়া অতিশয় সস্তুষ্ট হইলেন, কহিলেন, রাজকুমার! তুমি যখন অযত্নসুলভ রাজ্য পরিভাগের বাসনা করিয়াছ, তখন তুমিই ধন্য ; এই পৃথিবীতে তোমার তুল্য আর কাহাকেও দেগ্নি না । তুমি বিপন্ন রামকে প্রত্যানয়নের ইচ্ছা করিয়াছ বলিয়া তোমার এই কীৰ্ত্তি অনন্তকালস্থায়িনী হইয়া ত্ৰিলোকে সঞ্চরণ করবে। . উভয়ে এইরূপ কথোপকথন করিতেছেন, এই অবসরে স্থৰ্য্য নিম্প্রভ হইয়া অস্তশিখরে আরোহণ করিলেন, রজনীও উপস্থিত হইল । তখন ভরত নিষাদপতির পরিচর্যায় সবিশেষ প্রীত হইয়া শক্রয়ের সহিত শয়ন করিলেন। রামচিন্তাজনিত শোক সেই চিয়মুখী ধৰ্ম্মনিরত রাজকুমারকে আক্রমণ করল । কোটরস্থ অগ্নি যেমন দাবানলশোষিত বৃক্ষকে দগ্ধ করে, ভদ্রপ ঐ শোকবহ্নি চিন্তানলসন্তপ্ত ভরতকে দগ্ধ করিতে প্রবৃত্ত হইল। হিমাচল যেমন স্থৰ্য্যের উত্তাপে তুষার ऋद्भ* করিয়া থাকেন, তদ্রুপ উহার প্রভাবে ভরতের দেহ হইতে বর্ঘ নির্গত হইতে লাগিল । ঐ সময় যে শোকরূপ শৈল র্তাহাকে নিপীড়িত করিল, রামের চিন্তা উহার—মধও শিলা,