পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

JSty রামায়ণ । হিতকারক ও মুখজনক, যিনি কখনই দুঃখ ভোগ করেন নাই, সেই ইন্দাবস্থশ্যাম আরক্তলোচন প্রিয়দর্শন কিরূপে ভূতলে শয়ন করিতেছেন "লক্ষণই ধন্য, তিনি এই সঙ্কট কালে র্তাহার অনুসরণ করিয়াছেন , জানকীও তাহার সঙ্গে গিয়া কৃতাৰ্থ इहे য়াছেন ; কেবল আমরাই ভদ্বিষয়ে পরাজু খ হইয় রছিলাম — হা ! পিতা স্বৰ্গে আরোহণ করিয়াছেন, রাম বনবাসী হুইয়াছেন, এক্ষণে এই বসুন্ধরণকে কর্ণধারবিহীন নৌকার ন্যায় নিতান্ত নিরাশ্রয় বেtধ হইতেছে। অরণ্যগত মহাত্মা রামের বাহুবলরক্ষিত এই পৃথিবীকে মনেও কেছ আকাঙ্ক্ষণ করিতেছে না । এক্ষণে অযোধ্যার চতুঃপার্শ্বস্থ প্রাকারে প্রহরী নাই, পুরদ্বার অনাবৃত, হস্ত্যশ্ব সকল উন্মুক্ত, সৈন্য সমুদায় বিষন্ন, আজ বিষমিশ্রিত আমের ন্যায় ইহাকে শত্রুরাও প্রার্থনা করিতেছে না । অদ্যাবধি আমি জটাচীর ধারণ ও ফলমূল ভক্ষণ পূৰ্ব্বক ভূতলে বা তৃণশয্যায় শয়ন করিব । রামের ব্রত স্বয়ং গ্রহণ করিয়া চতুর্দশ বৎসর পরম মুখে অরণ্যে থাকিব, ইহাতে র্তাহীর সংকল্পের কোনরূপ ব্যতিক্রম ঘটিবে না । বনবাসকালে শক্ৰয় আমার সঙ্গে থাকিবেন, আর আর্য রাম লক্ষণের সহিত অযোধ্যা রক্ষণাবেক্ষণ করিবেন । তিনি ব্রাহ্মণগণের সাহায্যে রাজ্যে অভিষিক্ত হন, এই আমার অভিলাষ, দৈববলে ইহা সফল হউক। এক্ষণে আমি গিয়া, তাহাকে প্রত্যালয়ম করিবার নিমিত্ত