পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ৪১১ রাখিল না । সৈন্যেরা পানভোজনে পরিতৃপ্ত রক্তচন্দ্রনে রঞ্জিত ও অপরদিগের সহিত মিলিত হইয়া কহিতে লাগিল, অতঃপর আমরা আর অযোধ্যা কি দণ্ডকারণ্য কুত্রাপি গমন করিব না, এক্ষণে রাম ও লক্ষণের জয়জয়কার হউক। ফলতঃ সকলে এইরূপ স্বেচ্ছানুরূপ আহারবিধি লাভ করিয়া, যার পর নাই পরিতুষ্ট হইল । কেহ কেহ ইহাকেই স্বৰ্গ মনে করিয়া হর্ষভরে নিনাদ পরিত্যাগ করিতে লাগিল । কেহ মৃত্য কেহ গান ও কেহ বা হাস্য আরম্ভ করিল এবং কেই কেহ বা গলে মাল্য ধারণ পূর্বক ইতস্ততঃ ধাবমান হইল । যাহার একবার আহাঁর করিয়াছে, ঐ সমস্ত উৎকৃষ্ট ভোজ্য দর্শনে তাহীদের পুনরায় ভোজনেচ্ছা জন্মিল । দাস দাসী ও বধুদিগের মধ্যে সকলেরই নুতন বৃস্ত্র পরিধান এবং সকলেই সন্তুষ্ট । পশু পক্ষী সকল সুপুষ্ট হইল, দ্রব্যান্তরংগ্রহণে উহাদের আর প্রবৃত্তি রহিল না । তথায় প্রত্যেকের বস্ত্র ধবল, কেই ক্ষুধিত বা মলিন লহে এবং ੋ কেশ ধূলিতে অপরিচ্ছন্ন নাই । সকলে কুসুমস্তবকগুশোভিত শুক্লান্নপূর্ণ স্বর্ণ ও রজতময় বহুসংখ্য পাত্র বিস্ময়সহকারে দেখিতে লাগিল । ঐ সমস্ত পাত্রে ফলরসসিদ্ধ সুগন্ধি স্থপ, উৎকৃষ্ট ব্যঞ্জন এবং ছাগ ও বরাহের মাংস রহিমন্থে। বনবিভাগস্থ কৃপ সমূহে পায়সের কর্দম দৃষ্ট হইল। ধেনুগণ অতীষ্ট প্রদান এবং বৃক্ষ সকল মধু ক্ষরণ করিতে লাগিল ।