পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অযোধ্যাকাণ্ড । ৪২১ নীপ, বেত্র, ইন্দ্রযব, ও বীজক প্রভৃতি ফলপুষ্প-মুশেভুিত ছায়াবহুল মনোহর বৃক্ষ সকল বিরাজিত রহিয়াছে ; ঐ সমস্ত মুরম্য শৈলপ্রস্থে কিন্নরমিথুন পরমসুখে বিহার করিতেছে । অদূরে বিদ্যাধরীদিগের ক্রীড়াস্থান । ঐ স্থানে উৎকৃষ্ট বস্ত্র ও খঙ্গ সকল বৃক্ষশাখায় সংলগ্ন আছে । কোথাও জলপ্রপাত, কোথাও উৎস, এবং কোথাও বা নিঃস্যন্দ, সুতরাং শৈল যেন মদআরী মাতঙ্গের ন্যায় শোভা পাইতেছে । গুহাগৰ্ভ হইতে সমীরণ ঘ্ৰাণতপণ কুসুমগন্ধ বহুন করিয়া সকলকে পুলকিত করিতেছে । জগনকি ! তোমার ও লক্ষণের সহিত যদি আমি বহুকাল এই পৰ্ব্বতে বাস করি, শোক কোনমতেই আমায় অভিভূত করিতে পরিবে না । এই ফলপুষ্পপূর্ণ বিহঙ্গকুল-কূজিত মুরম্য গিরিশৃঙ্গে আমি যথেষ্টই প্রীতি লাভ করিতেছি । তুমি আমার সহিত চিত্ৰকূট পৰ্ব্বতে বাক্য মন ও দেহের অনুকূল নানাপ্রকার বস্তু দর্শন করিয়া, কি আনন্দিত হইভেছ # ? আমার পূর্বপিতামহগণ দেহান্তে সংসারক্লেশশান্তির নিমিত্ত বনবাসকেই মোক্ষস ধন বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন। যাহাঁই হউক, এক্ষণে অরণ্য আশ্রয় করিয়া পিতার ঋণমুক্তি ও ভরভের প্রীতি উভয়ই প্রাপ্ত হইলাম । এই পৰ্ব্বতে রজনীতে ওষধি সমুদায় স্বকান্তিপ্রভাবে অগ্নিশিখার ন্যায় দৃশ্যমান হইয়া থাকে । ইহার চতুর্দিকে নানাবর্ণের বিশাল শিলা