পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চনবতিতম সর্গ, অনন্তর পদ্মপলাশলোচন রাম, চিত্রকট হইতে নিষ্কান্ত হইয়া, চন্দ্রীনমা জানকীকে ‘কহিলেন, অয়ি প্রিয়ে ! এই স্থানে মন্দাকিনী প্রবছিভ হইতেছেন । এই নদীর পুলিন অতি রমণীয়, ইহাতে হংস ও সারসের নিরস্তুর কলরব করিতেছে । তীরে ফলপুষ্পপূর্ণ নানাবিধ বৃক্ষ শোভা পাইভেছে । ইহার অবতরণপথ অতি মনোহর | এক্ষণে ভটের সন্নিহিত জল অত্যন্ত অবিল হইয়াছে, এবং তৃষ্ণাৰ্ত্ত মৃগের অসিয়া উছা পান করিতেছে। હો দেখ, জটাfজলধারী ঋষিগণ যথাকলে এই নদীতে অবগাহন করিতেছেন । উৰ্দ্ধবাহু মুনির সুৰ্যোপস্থান,এবং অন্যান্য সকলে জপ করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছেন । তীরস্থ বৃক্ষ সকল পুষ্প ও পল্লবে অলস্কৃত, উহাদের শাখাগ্র বায়ুভরে পরিচালিত হইতেছে; তদর্শনে বোধ হয়, যেন পৰ্বত স্বয়ংই মৃত্য আরম্ভ করিয়াছে । মন্দাকিনীর কোন স্থলে জল যেন মণির ন্যায় নিৰ্ম্মল, কোন স্থলে পুলিন, কোন স্থলে বহু সংখ্য