পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৭৭

8 * * রামায়ণ । করা তোমার উচিত হইতেছে । দেখ, গয়া প্রদেশে মহাত্মা গয় যজ্ঞকালে পিতৃলোকের প্রীতি কামনায় এই শ্রীতি গান করিয়াছিলেন, “যিনি পুৎ নামে নরক হইতে পিতাকে পরি ত্ৰাণ করেন, তিনি পুত্র, এবং যিনি র্তাহাকে সকল প্রকার । সঙ্কট হইতে রক্ষা করেন, তিনিও পুত্র। জ্ঞানী গুণবাণ বহু পুত্রের কামনা করা কর্তব্য, কারণ ঐ সমষ্টির মধ্যে অন্তত এক জনও গয়া যাত্ৰা করিতে পারে। ভরত। পূর্বতন রাজুর্ষিগণের এইরূপই বিশ্বাস ছিল । অভএব ੋਧ এক্ষণে পিতাকে নরক’ হইতে রক্ষণ কর, এবং অযোধ্যায় ग्निज्ञ ব্রাহ্মণগণ ও শক্রক্সের সহিত প্রজারঞ্জনে প্রবৃত্ত হও । অতঃপর আমায়ও অবিলম্বে জানকী ও লক্ষণের সহিত দণ্ডকারণ্যে প্রবেশ করিতে হইবে । ভাই ! তুমি মনুষ্যের রাজা হও, আমি बना মৃগগণের রাজাধি রাজ হইয়া থাকিব ; তুমি আজ হৃষ্টচিত্তে মহানগরে গমন কর, আমিও পুলকিত মনে দণ্ডকারণ্যে যাত্র কবি ; শ্বেত श्ज, আত্তপ নিবারণ পূর্বক, তোমার মস্তকে শীতল ছায়া প্রদান কৰুক, আমিও এই সকল বা বৃক্ষের তদপেক্ষাও শীতল ছায় আশ্রয় করিব ; ধীমান্‌ শক্রয় ভোমার সহায়, লক্ষণও আমার প্রধান মিত্র। এক্ষণে আইস, আমরা চার জনে মিলিয়া এই রূপে পিতৃসত্য পালনে প্রবৃত্ত হই ।