পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবাধিকশততম সৰ্গ । জাবালীর এই কথা শুনিয়া রামের কিছুমাত্ৰ ভাব-বৈপরীত্য ঘটিল না, তিনি তখন ধৰ্ম্মবুদ্ধি অবলম্বন পূর্বক কহিতে লাগি লেন, তপোধম! আপনি আমার इिड কামনায় এক্ষণে যাহা কহিলেন, তাছা বস্তুত অকাৰ্য্য, কিন্তু বৰ্ত্তব্যবৎ প্রতীয়মান হইতেছে, বস্তুতই অপথ্য, কিন্তু পথ্যের ন্যায় সপ্রমাণ হইতেছে । যে পুৰুষ পামর ও বিপথগামী এবং ষে জনসমাজে শাস্ত্রবিৰুদ্ধ মত প্রচার করিয়া থাকে, সে সাধুলোকের নিকট কখনই সম্মান পায় না । উচ্চ কি নীচ বংশীয়, বীর কি পৌৰুষাভিমানী, শুচি কি অপবিত্র, চরিত্রই তাহার পরিচয় দিয়া থাকে । এক্ষণে আপনি যে রূপ কহিলেন তদনুরূপ আচরণ করলে নানা অনর্থ ঘটিবে । আপনার মত অত্যন্ত অপ্রশস্ত। ইহার বলে, লোক, কাৰ্য্যত অনার্য হইলেও যেন ভদ্র, কদাচার হইলেও যেন শুদ্ধস্বভাব, এবং দুর্দশন হইলেও যেন লক্ষণাক্রান্তু বলিয়া আপনাকে অনুমান করিয়া থাকে। আমি যদি এইরূপ লোকদূষণ অধৰ্ম্মকে ধর্মবেশে গ্রহণ করি, এবং প্রকৃত শ্রেয় পরি ত্যাগ পূৰ্ব্বক অবৈধ ব্যবহারে প্রবৃত্ত হই, তাছা হইলে বিজ্ঞের