পাতা:রামায়ণ - অযোধ্যাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯২ রামায়ণ । য়াছেন, আমি চতুর্দশ বৎসর ভাছাই পালন করিব । তখন গুৰুদেব কছিলেন, তবে তুমি এক্ষণে প্রসন্নমনে এই স্বর্ণেজ্জল পাদুকাযুগল অপর্ণ করা এবং ইহা দ্বারা অযোধ্যায় যোগক্ষেমকর হও । তাপস ; রাম এইরূপ অভিহিত হইবামাত্ৰ পূৰ্ব্বাস্য হইয়া, রাজ্যের রক্ষা বিধানর্থ আমায় পাছুক প্রদান করিলেন । আমি এক্ষণে ভাহা লইয়া উছিারই আদেশে অযোধ্যায় চলিয়াছি । " ভর দ্বাজ শুরুতর মুখে এই কথা শ্রবণ করিয়া কছিলেন, বৎস ! তুমি অভিমুশীল ও সচ্চরিত্র; রামও লোকের স্বভাৰ বিলক্ষণ বুঝিতে পারেন, তিনি যে তোমার প্রতি সৎব্যবহার করবেন, ইহাতে আর আশ্চর্য কি, উৎসৃষ্ট জল ত নিম্নাভিমুখী হইয়াই থাকে । এক্ষণে বোধ হইতেছে, তোমার ন্যায় ধৰ্ম্মরৎসল পুত্র বাছার বিদ্যমান, মৃত্যু সেই দশরথকে এককালে লুপ্ত করিতে পারে নাই । আমন্তুর ভরত মহর্ষি ভরদ্বাজকে কৃতাঞ্জলিপুটে আমন্ত্রণ, অভিবাদন, ও পুনঃ পুনঃ প্রদক্ষিণ পূৰ্ব্বক মন্ত্রিগণের সহিত অযোধ্যাভিমুথে গমন করিতে লাগিলেন। র্তাহার সৈন্য সকল হস্তশ্বে রথে ও শকটে আরোহণ পূর্বক নাম স্থানে বিত্তীর্ণ হইয়া চলিল । সম্মুখে উৰ্ম্মিমালিনী যমুনা, উছারা ঐ নদী উত্তীর্ণ হইয়া নিৰ্ম্মলসলিলা জাহ্নবীকে দেখিতে পাইল । ভখন ভরত সসৈন্যে উহা পার হইয়া, শৃঙ্গবের পুরে প্রবেশ করিলেন, এবং